মন খারাপ? নিজেই নিজের মন ভালো করতে পারেন


মন খারাপ হওয়া খুব মানবিক ও স্বাভাবিক একটি ঘটনা। মন খারাপ হলেই যে ব্যক্তিটি মানসিক রোগে আক্রান্ত সেটি ভাবা ভুল। পারিবারিক সমস্যা, চারপাশের মানুষের কর্মকাণ্ড বা কারো কথায় কষ্ট পাওয়া কিংবা নিজের কোনো খারাপ স্মৃতি মনে পড়ার কারণে মন খারাপ হতে পারে।
তবে সবসময় মন খারাপ করে রাখা যাবে না। সারাক্ষণ মন খারাপ করে থাকলে এটি আস্তে আস্তে মানসিক সমস্যায় রূপ নিতে পরে। তাই মন খারাপ হলে যেভাবে মন ভালো করার চেষ্টা করবেন তা জেনে নিন।
১. বই পড়া: বই পড়া একটি ভালো গুণ। আপনার প্রিয় লেখকের প্রিয় বইটি খুঁজে বের করে পড়তে পারেন। আপনি চাইলে মোটিভেশনাল বই, ধর্মীয় বই পড়তে পারেন। বই পড়লে যেমন জ্ঞান অর্জন করা যায়, তেমনি এটি আপনাকে মানসিকভাবে ভালো বোধ করাবে।
২. প্রিয় কাজ করা: মন খারাপ হলে আপনি আপনার পছন্দের কাজটি করতে পারেন। যেমন, গাছ লাগানো, রান্না করা, গান শোনা ইত্যাদি। এতে মন অন্যদিকে মনোযোগী হবে ও ধীরে ধীরে মন ভালো হবে।
৩. ধর্মীয় চর্চা: আপনি যদি আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী হউন, তাহলে অশান্ত মনকে শান্ত করতে ধর্মীয় আচার ও প্রার্থনা অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। মন যখন অশান্ত হয়ে থাকে, তখন যার যার ধর্মীয় কাজগুলো বাড়িয়ে দিতে পারেন। এতে মনে একপ্রকার শান্তি অনুভব হয়।
৪. আয়নার সামনে দাঁড়ান: শুনে হাসি পাচ্ছে? কিন্তু এটা মন ভালো করার টোটকা। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনের সব চাপা কষ্ট, যন্ত্রণাগুলো বলবেন। আয়নার ভেতরে থাকা আপনিই আপনার প্রতিচ্ছবির সঙ্গে শেয়ার করবেন। দেখবেন আপনি অনেকটাই হালকাবোধ করছেন।
৫. বাইরে ঘুরতে যাওয়া: মন খারাপ হলে আপনি বাইরে গিয়ে কিছুটা সময় ঘুরে আসতে পারেন। খোলা হাওয়ায় জোরে জোরে শ্বাস নিন। বাইরের পরিবেশ মনকে প্রফুল্ল করতে সাহায্য করে।
৬. পছন্দের মানুষের সঙ্গে কথা বলুন: সারাক্ষণ মনমরা হয়ে না থেকে পছন্দের মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। তার সঙ্গে আলোচনা করুন, কি নিয়ে আপনার মন খারাপ। কেউ আপনাকে বুঝলে আপনি নিজের কাছে ভালো বোধ করবেন।
৭. পরিপাটি থাকা: মনকে ভালো রাখতে চাইলে সবসময় নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং নিজের ঘরের পরিবেশকেও গুছিয়ে পরিপাটি করে বসবাস করুন। আপনার পরিবেশ স্নিগ্ধ হলে তা মনতে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
৮. মেডিটেশন: নিয়মিত মেডিটেশন করলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। মেডিটেশন করলে ভয়, উদ্বেগ কমে যায় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
আপনার দৈনন্দিন জীবনে এমন ছোটখাটো সহজ কিছু চর্চার মধ্য দিয়েই নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারবেন। তবে যদি মনে হয় যে এটি আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।