1. হোম
  2. সারাদেশ

তীব্র শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, ধেয়ে আসছে শৈত্যপ্রবাহ

Staff Reporter
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৬ এএম
তীব্র শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, ধেয়ে আসছে শৈত্যপ্রবাহ

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পুরো জনপদ, যার ফলে দিনের বেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। কনকনে ঠান্ডা আর উত্তুরে হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতভাগ। কুয়াশার তীব্রতা এতটাই বেশি যে, বৃষ্টির মতো টিপটিপ করে কুয়াশা ঝরছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই জেলার ওপর দিয়ে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তা নদীবেষ্টিত ৪৫০টি চরাঞ্চলের মানুষ এখন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। পেটের দায়ে কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে বের হতে হচ্ছে দিনমজুর ও শ্রমিকদের।

শহরের ভেলাকোপা এলাকার হোটেল শ্রমিক আনিছুর রহমান জানান, ‘রাতভর বরফের মতো ঠান্ডা থাকে, দিনেও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু কাজ না করলে সংসার চলবে না, তাই বাধ্য হয়েই কাজে বের হতে হয়েছে।’ একই করুণ চিত্র দেখা গেছে উলিপুরের কৃষক আব্দুল জলিলের ক্ষেত্রেও। প্রচণ্ড ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসলেও জীবিকার তাগিদে তাকে মাঠে নামতে হচ্ছে।

শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরাই সবচেয়ে বেশি।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আল-আমিন মাসুদ জানান, এই সময়ে শিশুদের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। তিনি শিশুদের কুয়াশা ও ধুলাবালি থেকে দূরে রাখার এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না করার পরামর্শ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, দীর্ঘমেয়াদী ঘন কুয়াশার কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। বিশেষ করে আলুর খেত ও বোরো বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।