সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাড়িতে আগুন-ভাঙচুর
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১১টার পরে চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকায় একদল যুবক মিছিল নিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসভবনে হামলা চালান।
স্থানীয়রা জানান, ওই মিছিলে থাকা ছাত্র-জনতা নওফেলের বাসায় ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এদিকে, রাজধানীর কাওরানবাজারে অবস্থিত প্রথম আলোর কার্যালয়েও হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে নির্বাচনি প্রচারণাকালে রিকশায় থাকা হাদির মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরিভিত্তিতে অস্ত্রপচার করার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের উদ্যোগে তাকে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে ওসমান হাদির মৃত্যু হয়।
হাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেলের নিউরো টিমের সদস্য হাদির চিকিৎসক ডা. আব্দুল আহাদ। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের নিউরো সার্জিক্যাল টিম তার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে। বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৯টার দিকে হাদি মারা যান বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজেও এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহিদ হিসেবে কবুল করেছেন।’