সাজিদের মায়ের আহাজারি

‘আল্লাহ আমার ছাওয়ালের মরা মুখটাও দেখালা না রে’

Staff Reporter
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম
‘আল্লাহ আমার ছাওয়ালের মরা মুখটাও দেখালা না রে’
সাজিদের মা রুনা খাতুন। ছবি: সংগৃহীত
৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদের। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গর্ত খুঁড়ে ৪২ ফুট নিচ পর্যন্ত ক্যামেরা দিয়ে অনুসন্ধান করেও শিশুটির খোঁজ পাননি।
 
এদিকে সন্তানের খোঁজ না পাওয়ায় ভেঙে পড়েছেন সাজিদের মা রুনা খাতুন। সন্তানের উদ্ধার কাজ দেখতে এসে বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ আমার ছাওয়াল (ছেলে) শ্যাষ (শেষ) রে আল্লাহ... আমার ছাওয়ালকে ফিরিয়ে দাও। আমার ছাওয়ালের মরা মুখটাও দেখালা না রে...।’
 
দুই বছর বয়সী সাজিদকে উদ্ধারে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান। তিনি উদ্ধার তৎপরতায় সবার সহযোগিতা চান এবং উদ্ধারকর্মী ছাড়া অন্য সবাইকে দূরে থাকার অনুরোধ জানান।
 
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাইজুল ইসলাম বলেন, মাটির ওপর থেকে ৪২ ফুট গভীরতা পর্যন্ত খুঁড়েও শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। শিশুটিকে উদ্ধারে খননের কোনো বিকল্প নেই। সে কারণে বড় পরিসরে খোঁড়া হচ্ছে। শিশুটিকে উদ্ধারে আরও সময়ের প্রয়োজন।
 
এর আগে তিনটি এস্কেভেটর দিয়ে খননকাজ চালানো হয়। খনন করা গর্ত থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে শিশুটি যে পাইপে পড়েছে সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। তবে পানি ও কাদার কারণে উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে।
 
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তানোর উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের রাকিব উদ্দীনের ছেলে সাজিদ গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যায়। এরপর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক দফা নলকূপের ৩০ ফুট গর্তে ক্যামেরা নামায় ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু ওপর থেকে পড়া মাটি ও খড়ের কারণে শিশুটিকে দেখা যায়নি। তবে বুধবার দুপুরে শিশুটির কান্নার আওয়াজ শোনা গিয়েছিল।
 
বিপি/আইএইচ