গর্তে পড়া সাজিদকে নিয়ে নতুন শঙ্কা

Staff Reporter
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশিত:১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৬ পিএম
গর্তে পড়া সাজিদকে নিয়ে নতুন শঙ্কা

দুই বছরের শিশু সাজিদ গর্তে পড়েছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়েছে ইতোমধ্যেই। উদ্ধার কাজও চলছে টানা একদিন ধরে। কিন্তু এখনও শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি ফায়ার সার্ভিস। মাটির ৪৫ ফুট গভীর পর্যন্ত সুড়ঙ্গ খোড়া হলেও এখনও পাওয়া যায়নি সাজিদের সন্ধান।

এমন অবস্থায় গর্তে সাজিদের থাকা নিয়ে দোটানা ও শঙ্কায় পড়ে গেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। জেগেছে নতুন অনিশ্চয়তা। গর্তটি বাস্তবিকপক্ষে কতোটা গভীর? সাজিদ পড়েছেন আসলে কত নিচে? রয়েছেন কি বেঁচে?

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের ধানখড়ের মাঠে মায়ের পিছু পিছু হাঁটতে গিয়ে হুত করেই গভীর একটি গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। গর্তটির ব্যসার্ধ মাত্র ৮ সেন্টিমিটার।

এরপর খবর পেয়ে পাঁচটি ইউনিট নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে উদ্ধারকার্য শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রযুক্তির অভাবে তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন তারা।

পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের ওই গর্তে শিশুটির অবস্থান শনাক্তে ফায়ার সার্ভিস ফেলেছিল বিশেষ ক্যামেরা। ৩৫ ফুট যাওয়ার পর আটকে যায় সেই ক্যামেরা। সেখানেও দেখা যাচ্ছিল না সাজিদকে। সে সময় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধারণা করে ৪০ ফুট নিচেই রয়েছে সাজিদ।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর ৬ টা থেকে তিনটি এক্সকাভেটর নিয়ে এসে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে সামনে আসে ভয়ানক এক তথ্য। ৪০ ফুট নিচে সাজিদের অবস্থান এমনতা ধারণা শুরুতে করলেও পরবর্তিতে দেখা যায় গর্তটি আদতে ১৫০ থেকে ২০০ ফুট গভীর।

বেলা দুইটা পর্যন্ত একটানা কাজ করে কেবল ৪৫ ফুট খনন করতে সক্ষম হন তারা। 

ঘটনাস্থল থেকে ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গর্তটি ১৫০ থেকে ২০০ ফুট গভীর। এর ভেতরে যে কোনো জায়গায় শিশুটি আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের কোথাও এমন কোনো প্রযুক্তি নেই যে, এত গভীর গর্ত থেকে তাৎক্ষণিক কাউকে উদ্ধার করবে। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা পাশে গর্ত করে অনুসন্ধান চালাচ্ছি। এত গভীরে পৌঁছাতে বিভিন্ন উন্নত দেশেও ৭৫-৭৮ ঘণ্টা সময় লাগে।’