নতুন ছানাদের পরম মমতায় আগলে রেখেছে হতভাগ্য সেই মা কুকুরটি
অবশেষে নতুন ছানা পেল আট সন্তান হারানো অসহায় সেই মা কুকুরটি। এক স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের সুবাদে দুইটি ছানা পেয়েছে কুকুরটি। ছানা দুটিকে গ্রহণও করেছে সে। পরম আদরে রেখেছে আগলে।
‘ঈশ্বরদীয়ান’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের পরিচালক শাহরিয়ার অমিত নিজের পালিত কুকুরের সাতটি ছানা থেকে দুটি এনে কুকুরটিকে দেন। নতুন ছানা পেয়ে সুস্থ্য হয়ে উঠতে শুরু করেছে কুকুরটি।
‘ঈশ্বরদীয়ান’ সংগঠনের পরিচালক শাহরিয়ার অমিত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ছানা হারিয়ে মা কুকুরটি খুব কষ্ট পাচ্ছিল। পাশাপাশি তার স্তনে দুধ জমে থাকার কারণে মনে হচ্ছিল বেশ ব্যথা অনুভব করছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে কথা বলি। ইউএনও আমাকে পরামর্শ দেন অন্য কোনো কুকুরের কাছ থেকে দুটি ছানা সংগ্রহ করা যায় কি-না। তার পরামর্শ অনুযায়ী আমার নিজের পোষা কুকুরের সাতটি ছানা থেকে দুটি এনে কুকুরটির কাছে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে ছানা দুটি নতুন মা কে মেনে নিতে চায়নি। পরে স্তন থেকে দুধ বের করে ছানা দুটির মুখে মাখিয়ে দেওয়ার পর কুকুর ছানা দুটি নিজের মনে করে দুধ পান করানো শুরু করে। বর্তমানে মা কুকুরের সঙ্গে ছানা দুটি রয়েছে।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের একটি কোনায় থাকতো টম নামের একটি কুকুর। এক সপ্তাহ আগে টম আটটি বাচ্চা প্রসব করে। গত সোমবার সকাল থেকে তার ছানাগুলো না পেয়ে পাগলপ্রায় অবস্থায় কান্না আর ছুটাছুটি করতে দেখা যায় মা কুকুরকে।
পরে উপজেলা পরিষদের কর্মচারীরা জানতে পারেন, ঈশ্বরদী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী জীবন্ত আটটি কুকুর ছানাকে বস্তার মধ্যে বেঁধে রাতের কোনো এক সময় ফেলে দেন উপজেলা পরিষদের পুকুরে। পরদিন সকালে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় কুকুর ছানাগুলোর মরদেহ।
