কুরুচিপূর্ণ ভিডিও ভাইরালের পর সেই চিকিৎসক বরখাস্ত

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
কুরুচিপূর্ণ ভিডিও ভাইরালের পর সেই চিকিৎসক বরখাস্ত

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আবুল কাশেমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-৩ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডা. আবুল কাশেম রোগীর আত্মীয়ের সঙ্গে অপেশাদারসুলভ আচরণ, অশ্লীল কথাবার্তা ও দুর্ব্যবহার করেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার এ আচরণ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য। এ কারণে তাকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ১২(১) বিধি অনুযায়ী আদেশ জারির তারিখ থেকেই তার এ বরখাস্ত কার্যকর হবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী বরখাস্তকালীন তিনি খোরপোষ ভাতাদি প্রাপ্য হবেন।

এর আগে, ডা. আবুল কাশেমের একটি কুরুচিপূর্ণ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়—চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার এক শিশুর বাবা-স্বজনের সঙ্গে তিনি অশালীন, অপমানজনক ও হুমকিমূলক আচরণ করেন এবং আক্রমণাত্মক ভাষায় কটূক্তি করেন। ভিডিওটি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার তীব্র ঝড় ওঠে।

তরুণ-প্রবীণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ওই চিকিৎসকের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। অনেকেই মন্তব্যে লিখেছেন, এ ধরনের আচরণ চিকিৎসক সমাজের জন্য কলঙ্কজনক।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, একজন চিকিৎসকের মূল দায়িত্ব হলো রোগীর সেবা করা। কিন্তু তার ভাষা, জ্ঞান এবং আচরণ সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। একজন ডাক্তারের জন্য ধৈর্য বড় একটি গুণ। তাই তার ব্যবহৃত ভাষা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ভিডিওটি তার নজরে আসার পরপরই ওই চিকিৎসককে শোকজ করা হয়েছিল। পরে মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।