মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শরতের কাশফুল


বাংলাদেশে ঋতুবৈচিত্র্যের অন্য উদাহরণ শরৎকাল। গ্রীষ্মের প্রখর তাপ আর বর্ষার অবিরাম বৃষ্টির পর শরৎ আসে এক স্নিগ্ধ, শান্ত রূপ নিয়ে।
এই ঋতুর প্রধান আকর্ষণ হলো কাশফুলের সাদা সমারোহ। কাশফুল যেন শুভ্রতার প্রতীক, যা জানান দেয় শরতের আগমন। নদীর ধারে, খোলা মাঠে কাশফুলের বন বাতাসে দুলতে থাকে, যা দেখতে অত্যন্ত মনোরম।
কাশফুলের নরম ছোঁয়া, শুভ্রতা ও সাদা মেঘের মত ভেসে যাওয়ার দৃশ্য সবারই মন কেড়ে নেয়।
নড়াইলেরও বেশ কয়েকটি জায়গায় কাশফুল দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
জানা গেছে, নড়াইল পৌর এলাকার মহিষখোলায় বালুর মাঠ নামের বিশাল এলাকায় আছে দিগন্তজোড়া কাশবন। বিভিন্ন জায়গায় কাশফুল ফুটলেও এ স্থানটি উল্লেখ্যযোগ্য। এসব জায়গায় এরই মধ্যে কাশফুল ফুটতে শুরু করেছে। এ জায়গায় প্রতিদিনই সৌন্দর্য পিপাসু অসংখ্য মানুষ ছুটে যাচ্ছেন।
বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিনে ভিড় বেশি হয়। শরতের আকাশে ভেসে বেড়ানো মেঘের ভেলা আর মাটিতে ফুটে থাকা কাশফুলের শুভ্রতা মানুষের মনে আনন্দের দোলা দেয়।
এই সৌন্দর্য উপভোগের জন্য মানুষ দলে দলে ছুটে আসে কাশবনে। প্রতিদিন বিকেল হলেই অসংখ্য মানুষ ঘুরতে আসেন। অনেকেই পরিবার নিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করেন। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষকেই এসব জায়গায় ঘুরতে আসতে দেখা যায়। সবাই পরিবার নিয়ে কাশবনের ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকেই কাশফুল ছিঁড়ে মুঠোভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছেন।
কেউ কেউ আবার প্রিয়জনদের কাশফুল উপহারও দিচ্ছেন। এসব জায়গায় প্রতিদিনই প্রকৃতি প্রেমীদের মিলনমেলা হচ্ছে।
কাশবনে ঘুরতে আসা আতিকুর রহমান সনেট নামের এক যুবক বলেন, আমার বাড়ি পাশের গ্রামে আমি মাঝে মাঝেই এখানে আসি কাশফুলের সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করে। এখানকার কাশবনের পুরো অংশে এখনো ফুল ফোঁটেনি। পুরোটা ফুঁটলে সৌন্দর্য আরও বেড়ে যাবে।
যশোর জেলার বাঘারপাড়া থেকে আসা লিখন হোসেন নামের এক যুবক বলেন, আমরা বন্ধুরাসহ প্রতিবছরই এখানের কাশফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসি। এখানে আসলেই মন ভালো হয়ে যায়।