মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত জামায়াত কর্মী গ্রেপ্তার

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০২ এএম
মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত জামায়াত কর্মী গ্রেপ্তার

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে জামাল উদ্দিন (৪৫) নামে এক জামায়াত কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠিয়েছে তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ ।

এর আগে গতকাল শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর নানী বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে রাতেই উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ঠুনঠুনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে জামাল উদ্দিনকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, আটক জামাল উদ্দিন একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা বলছেন, আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও ৫ আগস্টের পর জামাল উদ্দিন জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। তিনি ঠুনঠুনিয়া মসজিদের ক্যাশিয়ার ছিলেন। ঘটনার পর মসজিদের দায়িত্ব থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, মায়ের মৃত্যুর পর মাদ্রাসার ওই ছাত্রী ছোট থেকেই নানীর বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। স্থানীয় একটি নুরানী মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতেন তিনি।

গত ১৭ জানুয়ারি সকালে ওই মাদ্রাসার ছাত্রী তার নানীর বাড়ির পাশে অভিযুক্ত জামাল উদ্দিনের বাড়িতে ফ্রিজ থেকে মুরগির মাংস আনতে যায়।

এ সময় জামাল উদ্দিনের বাড়িতে লোকজন না থাকায় ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়। েএতে ওই মাদ্রাসার ছাত্রী অস্বীকৃতি জানালে জামাল উদ্দিন ক্ষিপ্ত ও রাগান্বিত হয়ে ওই মাদ্রাসার ছাত্রীকে জোর করে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

এভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দীর্ঘদিন ধরে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেন জামাল উদ্দিন এবং একপর্যায়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সামাজিক বিচার শালিশও হয়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি জামাল উদ্দিন ঘটনার দায় স্বীকার করলেও পরে তিনি তার স্ত্রী ও ভাইসহ আসামিদের সহযোগিতায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

গত ১৪ জুন সকালে ভিকটিমকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। মীমাংসার আশ্বাসে পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার পরিবার। এ ঘটনায় মাদ্রাসার ওই ছাত্রী বিচার না পাওয়ায় তার নানী মামলা দায়ের করলে রাতেই পুলিশ জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।

ঠুনঠুনিয়া এলাকার এক বাসিন্দা জানান, জামাল জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছে। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর তাকে সম্ভবত দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

অন্যদিকে, গ্রামের মসজিদের দায়িত্ব থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইকবাল হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

এজাহারে জামাল উদ্দিন ছাড়াও আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া জানান, আসামি জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।