বাইকের কোন অংশ কতদিন পর পর সার্ভিসিং করানো উচিত


শখের বাইকটি নিয়ে প্রতিদিন বের হচ্ছেন। অফিস কিংবা অন্য কোনো গন্তব্য, ভরসা দুই চাকার যানটি। তবে সারাক্ষণ বাইক নিয়ে ঘুরে বেরালেও অনেকেই এর যত্ন নিতে ভুলে যান। দেখা যায় কয়েকদিন পর পর বাইকের কিছু না কিছু নষ্ট হচ্ছে। মাঝপথে অনেকবার ঝামেলাও পড়েছেন এজন্য।
নিয়মিত বাইকের যত্ন নিলে পুরোনো বাইকও দীর্ঘদিন থাকবে নতুনের মতো। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাইকের কোন অংশের কখন, কতদিন পর পর সার্ভিসিং করানো উচিত। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কতদিন পর বাইকের কোন অংশের সার্ভিসিং করাবেন
১. ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন: প্রতি ১,০০০-১,৫০০ কিলোমিটার চালানোর পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করুন। সম্ভব না হলে মাসে একবার ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতেই হবে।
২. এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার/পরিবর্তন: প্রতি ৩,০০০-৪,০০০ কিলোমিটার চালানোর পর বাইকের এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করুন। দরকার হলে পরিবর্তন করুন।
৩. চেইন লুব্রিকেশন ও টেনশন অ্যাডজাস্ট: প্রতি ৫০০-৭০০ কিলোমিটার চালানোর পর বাইকের চেইন পরিষ্কার করা জরুরি। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ময়লা পরিষ্কার করুন এবং চেইনটি পুনরায় লুব্রিকেট করুন।
৪. ব্রেক প্যাড/শু পরিবর্তন: প্রতি ৮,০০০-১০,০০০ কিলোমিটার চালানোর পর বাইকের ব্রেক প্যাড/শু পরিবর্তন করুন।
৫. স্পার্ক প্লাগ পরিবর্তন: প্রতি ১০,০০০-১২,০০০ কিলোমিটার চালানোর পর বাইকের স্পার্ক প্লাগ পরিবর্তন করুন।
৬. টায়ার চেক ও প্রেশার মেইনটেইন: সর্বোত্তম কর্মক্ষমতা এবং সুরক্ষার জন্য প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার টায়ারের চাপ পরীক্ষা করুন এবং সামঞ্জস্য করুন।
৭. ক্লাচ কেবল ও ব্রেক কেবল: বছরে একবার চেক করে প্রয়োজন হলে ক্লাচ কেবল ও ব্রেক কেবল বদলানো যেতে পারে।
৮. ব্যাটারি চেক: প্রতি ৬ মাসে অন্তত একবার বাইকের ব্যাটারি, ইঞ্জিন পরীক্ষা করুন।
৯. প্রতিবার যাত্রার আগে বাইকের ব্রেক, দ্রুত রিলিজ এবং সাধারণ অবস্থা পরীক্ষা করুন।