বাংলাদেশ-তুরস্ক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ৭ অক্টোবর


পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে আবারও পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ বৈঠক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম এবং তুরস্কের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বেরিস একিন্চি।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, একিন্চি দুই দিনের সফরে ৬ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছাবেন। সফরে তিনি শুধু পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকেই অংশ নেবেন না, পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানসহ সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টার সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
এ ছাড়া তিনি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতাদের সঙ্গেও আলাদাভাবে মতবিনিময় করবেন বলে জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, বৈঠকে রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে অংশীদারত্বে রূপ দেওয়ার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
একইসঙ্গে কৃষি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্যপ্রযুক্তি ও জ্বালানি খাতেও সহযোগিতা বাড়ানোর পথ খোঁজা হবে। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় এক শ কোটি ডলার হলেও বাংলাদেশ মূলত আমদানিনির্ভর। বৈঠকে রপ্তানি বাড়ানোর পাশাপাশি তুরস্ক থেকে বিনিয়োগ আকর্ষণেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের কৃষি খাতের আধুনিকায়নে তুরস্কের প্রযুক্তি কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটিও আলোচনায় আসবে। জ্বালানি খাতে তুরস্ক নবায়নযোগ্য শক্তি, এলএনজি ও জ্বালানি শোধনাগার প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এ অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও সহযোগিতার মাধ্যমে কাজে লাগানোর বিষয়ে মতবিনিময় হতে পারে।
গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। এরইমধ্যে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় হয়েছে। জানুয়ারিতে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাট ঢাকায় এসে প্রতিরক্ষা শিল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
ফেব্রুয়ারিতে আঙ্কারায় গিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলও প্রতিরক্ষা, অর্থ ও বাণিজ্য খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে বৈঠক করে। এ ছাড়া এপ্রিল ও জুলাই মাসে দুই দেশের মন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার প্রধানদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে।