পাকিস্তানের কাছে বিপর্যস্ত হয়ে বাংলাদেশের বিদায়
হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের আশায় অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বের সব ম্যাচ জিতে সে পথেই ছিল তারা। কিন্তু সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আর দাঁড়াতে পারেনি টাইগার যুবারা। পাকিস্তানের কাছে ৮ উইকেট হেরেছে তারা।
দুবাইয়ে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৬.৩ ওভারে মাত্র ১২১ রানে গুটিয়ে যায় আজিজুল হাকিম তামিমের দল। জবাবে ৬৩ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
এদিন বাংলাদেশ অনেক কষ্টে ১২১ রান তুলেছিল। ৮ নম্বরে নামা সামিউন বশিরের ইনিংস বাদ দিলে এই রানও হয় না। ৩ বল হাতে রেখে শেষ ব্যাটার হিসেবে রানআউট হওয়া এই অলরাউন্ডার ৩৭ বলে একটি চার ও একটি ছয়ে করেন ৩৩ রান। এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চটি অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের। ২০ রান করে ১৩ ওভারের মধ্যেই আউট হন তিনি।
মাত্র ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে জাওয়াদ আবরার ৯ ও রিফাত বেগ ৬ ওভারের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। মোহাম্মদ সাইয়ামের শিকার হওয়া আবরার ১৩ বলে ৯ ও আলী রাজার শিকার রিফাত ১৬ বলে ১৪ রান করেন।
তিনে নামা দলপতি তামিম এরপর ইনিংস মেরামত করতে থাকেন। অন্যপ্রান্তে কালাম সিদ্দিকী অলিন ধীরগতির হলেও আজিজুল ভালো কিছুর করারই আভাস দিচ্ছিলেন। বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকানো এই বাঁহাতি আবদুল সুবহানের শিকার হন। একই ওভারে কালামও সাজঘরে ফেরেন। ২৩ বলে তিনি করেন ৮ রান।
বাংলাদেশকে পরের আঘাতটিও দেন সুবহান। মো. আবদুল্লাহকে ৫ রানে তুলে নেন তিনি। শেখ পারভেজ জীবন দলীয় ৭৩, ফরিদ হাসান ৯৩, মো. সবুজ ১০৫ ও সাদ ইসলাম ১০৬ রানের মাথায় আউট হন। এদের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
বিপি/আইএইচ