কলকাতায় পা রাখলেন মেসি
উপমহাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতে পা রাখলেন ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) আনুমানিক রাত আড়াইটার পর কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
মেসির এই আগমনকে কেন্দ্র করে রাত থেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন শত শত উৎসাহী ভক্ত। যখন এলএমটেন কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন, তখন ভারত ও আর্জেন্টিনার জাতীয় পতাকা হাতে সমর্থকদের মুহুর্মুহু চিৎকার ও জয়ধ্বনিতে গোটা চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মেসির সঙ্গে এসেছেন তার ক্লাব ইন্টার মায়ামির সতীর্থ ও দীর্ঘদিনের বন্ধু উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেস এবং আর্জেন্টিনার আরেক ফুটবলার রদ্রিগো ডি’পলও।
একই রাতে কলকাতায় এসেছেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানও, তবে মেসি ও শাহরুখ দুজনেই আলাদা বিমানে এসে পৌঁছেছেন। ব্যক্তিগত জেটে শাহরুখের আগমনের খবর পাওয়া গেছে। বিমানবন্দর থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাদের সকলকে দ্রুত বের করে আনা হয়।
একবিংশ শতাব্দীর এই শ্রেষ্ঠ ফুটবলারের সফর ঘিরে পুরো ভারতবর্ষে এখন উৎসবের আমেজ। রাজকীয় অভ্যর্থনার জন্য প্রতিটি শহর প্রস্তুত। তিন দিনের এই হাই-প্রোফাইল ‘গোট ট্যুর’-এর প্রতিটি দিনই রয়েছে জমজমাট আয়োজন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে সফরের প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা।
নির্ধারিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সাবেক বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ।
নিরাপত্তাজনিত কারণে ৭০ ফুট উঁচু একটি মূর্তির উন্মোচনে মেসি সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তিনি ভার্চুয়ালি সেই ভাস্কর্য উন্মোচন করবেন।
কলকাতার পর্ব শেষ করে মেসির পরবর্তী গন্তব্য হায়দরাবাদ। রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে তিনি একটি আকর্ষণীয় ‘৭ বনাম ৭ এ সাইড’ ফুটবল ম্যাচে অংশ নেবেন।
দিনের শেষে, সন্ধ্যায় তিনি একটি বর্ণাঢ্য সঙ্গীতানুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
হায়দরাবাদের পর তিনি যাবেন ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে। এখানে তার মূল আকর্ষণ হলো একটি দাতব্য ফ্যাশন শোতে অংশগ্রহণ। সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ এই আয়োজনে একটি মিউজিক শো পরিবেশন করবেন।
এই সফরের সমাপ্তি ঘটবে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাতে মিলিত হবেন। এরপর অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে এক জমকালো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তার তিন দিনের এই ভারত সফর।
এর আগে, ২০১১ সালে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। সেবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তাঁর নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে জয় লাভ করে। তার এই সফর ভারতীয় ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে এক নতুন মাইলফলক স্থাপন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
