জামায়াত নেতাদের লাগামহীন মন্তব্য, কারণ দর্শানোর নোটিশ

Bangla Post Desk
নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশিত:০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
জামায়াত নেতাদের লাগামহীন মন্তব্য, কারণ দর্শানোর নোটিশ
জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী ও মুফতি আমির হামজা। ছবি: বাংলাপোস্ট

বিগত ১৭ বছরে ব্যাপক চাপের মুখে থাকলেও ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশে অনেকটা নিরাপদ অবস্থানে থেকেই রাজনীতি করেছে জামায়াতে ইসলামী। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ পতনের পর আবারও গতি পেয়েছে দলটির কর্মকাণ্ড।

নির্বাচন ও রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে জামায়াত। সেই সঙ্গে বেড়েছে নেতাদের বিতর্কিত ও বেফাঁস কথাবার্তাও।

কখনো থানার ওসিকে শিবির-জামায়াতের লোক দিয়ে ‘সহায়ক পুলিশ সরবরাহের প্রস্তাব’, আবার কখনো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, নবীজি সাংবাদিক ছিলেন, মহানবী মক্কা থেকে মদিনায় পালিয়ে গিয়েছিলেন— দলটির নেতাদের এমন মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

এর মধ্যে সম্প্রতি জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্য ‘টক অব দ্য কান্ট্রিতে’ পরিণত হয়। প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। শাহজাহান চৌধুরীর জন্য সূর্যও দাঁড়িয়ে থাকবে, নিজেকে গার্ডিয়ান অব চিটাগং বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তার এমন ঔধ্যত্বপূর্ণ বক্তব্যে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় নাগরিক সমাজসহ পেশাজীবীরা।

আবার ওয়াজ মাহফিলে দলটির আরেক নেতা মুফতি আমির হামজার বক্তব্য ঘিরেও সমালোচনা হয় দেশজুড়ে। নিজেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী দাবি করলেও সেটা সঠিক নয়। এক সমাবেশে তিনি মুহাম্মদ (সা.)-কে সাংবাদিক বলেও মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দেন।

ধারাবাহিকভাবে এসব ঘটনার পরও সতর্কতা ও শোকজ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ জামায়াত।

এদিকে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) কয়েকজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। জামায়াতের শীর্ষ নেতারা বলছেন, কেউ বার বার বিতর্কিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও দলের মুখপাত্র এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলছেন, বেফাঁস বক্তব্য ব্যক্তির নিজের, এর দায় নেবে না দল।

তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমরা সর্বোচ্চ কঠোরও থাকি। কারও সংশোধন প্রত্যাশিত মানে হচ্ছে না, তখন গঠনতন্ত্র মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা নেব।

দলটির আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, কোনো ভুল-ভ্রান্তিকে দলীয়ভাবে আমরা গ্রহণ করি না। ব্যক্তি যদি ভুল করে এবং সেক্ষেত্রে যদি সীমা বা মাত্রা বা দলীয় পলিসির বাইরে চলে যায়, সেক্ষেত্রে আমরা সাংগঠনটিকভাবে পদক্ষেপ নিই।

পরিস্থিতি বুঝে নেতাকর্মীদের সতর্কতার সঙ্গে কথা বলা ও চলার পরামর্শ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের।