‘নির্বাচন বানচালে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে, বিচলিত হওয়ার কিছু নেই’

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১০ এএম
‘নির্বাচন বানচালে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে, বিচলিত হওয়ার কিছু নেই’

বিএনপি ও গণতন্ত্রকে একে অপরের পরিপূরক বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেছিলেন এবং বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে এনেছিলেন। ১৫-১৬ বছরের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি স্বৈরাচারকে বিতাড়ন করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এক কোটি লোককে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।

বুধবার সন্ধ্যায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল চট্টগ্রাম বিভাগের আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারের সময় গণসংযোগে পাঁচলাইশের হামজারবাগে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেলে খসরু বলেন, “এ ধরনের ঘটনায় বিচলিত বা অস্থির হওয়ার কোনো কারণ নেই। সামনে নির্বাচন। নির্বাচন বানচালের জন্য বা দেশ অস্থিতিশীল করার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। মনোবল ঠিক রেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে হবে।”

সেমিনারের সভাপতি ছিলেন আবু হোরায়রা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ বক্তা ছিলেন ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়জী, কেন্দ্রীয় কমিটির হুম্মাম কাদের চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির ইসরাফিল খসরু এবং ইয়্যুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার তারেক আকবর খন্দকার।

‘আমার প্রথম ভোট ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই স্মৃতি বিপ্লব হলে অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।

খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এক কোটি লোককে চাকরি দেওয়া হবে। এটি কেবল রাজনৈতিক বক্তব্য নয়; প্রতিটি সেক্টরে কত বিনিয়োগ হবে এবং কতজনের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে তা হিসাব-নিকাশের মাধ্যমে নির্ধারিত।

তিনি আরও বলেন, ভোট দেওয়ার জন্য দেশে গণতন্ত্র থাকা জরুরি। হাসিনার সময়ে দেশে গণতন্ত্র ছিল না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথমে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে এনেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তারেক রহমান বিদেশে থেকে ১৫-১৬ বছর নেতৃত্ব দিয়ে স্বৈরাচারকে বিতাড়ন করেছেন। বিএনপি এবং গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক।

খসরু উল্লেখ করেন, বিএনপি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ খুলে দিয়েছে। বিএনপির সময় সাধারণ মানুষ শিল্পায়নে অংশ নিয়েছে, ইপিজেডগুলো গড়ে উঠেছে, ব্যাংকের ঋণ গ্রহণে সুযোগ পেয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.০৬ শতাংশ, যা ধারাবাহিকতা থাকলে বর্তমানে ১০-১১ শতাংশে পৌঁছানো যেত।

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প করে ১০০ কোটি টাকা পকেটে ঢুকিয়েছে এবং ব্যাংকিং ও শেয়ার বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিএনপি অতিরিক্ত ঋণ নিয়ে উন্নয়ন করবে না; প্রত্যেকটি বিনিয়োগে দেশের ১৮ কোটি মানুষের কল্যাণ বিবেচনা করা হবে।