আবদুল হামিদের সেই বাড়িতে এখন সুনসান নীরবতা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১২ এএম
আবদুল হামিদের সেই বাড়িতে এখন সুনসান নীরবতা

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কিশোরগঞ্জ শহরের বাড়ি এখন জনশূন্য, যেন ঘুঘু চড়ার খালি দিগন্ত। এক সময়, যেখানে ১৪ বছর ধরে পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্ট ছিল এবং দলীয় নেতাকর্মী ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভরে থাকতো, এখন সেখানে নীরবতা এবং সুনসান অবস্থা বিরাজ করছে। মাঝে মাঝে কৌতূহলী পথচারীরা ক্ষণিক থমকে গিয়ে সেই নীরব দৃশ্যের দিকে তাকান।

পতিত স্বৈরাচারী সরকারের সময় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ শহরের এই ভিভিআইপি বাড়িতে রাষ্ট্রপতি, ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকারের দায়িত্ব পালনকালে নিরাপত্তার দায়িত্বে পালাক্রমে পুলিশি পাহারা থাকতো।

খরমপট্টি এলাকায় অবস্থিত বাড়িটি গত শুক্রবার পরিদর্শনকালে দেখা গেছে মূল ফটক জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়েছে। ফটকের ভিতরে ভাঙচুরের চিহ্ন এবং আগুনে পোড়ার ক্ষত-বিক্ষত দৃশ্য চোখে পড়ে।

গত বছরের ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনের সময়, পতিত স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর জনরোষের শিকার হয়ে এই বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) আসন থেকে সাতবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বিরোধীদলীয় উপনেতা, ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার এবং রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তার বড় ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক তিনবার এই এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এবং তার ছোট ভাই রাসেল আহমেদ তুহিনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতা চালানো ও মাদক মামলা হয়। এ কারণে তারা দৃশ্যত আত্মগোপনে থাকায় কিশোরগঞ্জ শহরের এই বাড়িটি এখন ঝরাপোড়া, সুনসান অবস্থার শিকার।