বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে হওয়া বৈঠক নির্বাচন অনিশ্চয়তা দূর করেছে। তিনি বলেন, রমজানের আগে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ফলপ্রসূ ঐকমত্যের মাধ্যমে নতুন আশা জাগিয়েছে বৈঠকটি।
শুক্রবার (১৩ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আসন্ন রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে এই বৈঠকে ফলপ্রসূ ঐকমত্য অনিশ্চয়তা দূর করেছে এবং দেশের জনগণের জন্য স্বস্তি ও নতুন আশার বার্তা এনেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, লন্ডনে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পূর্ব ঘোষিত প্রতিকূল এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময়সূচি থেকে সরে এসে সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও অর্জনকে সংযুক্ত করে একটি যৌক্তিক সময় নির্ধারণের জন্য আমরা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধান উপদেষ্টা জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এটি প্রশংসার যোগ্য পদক্ষেপ।
'সবার আগে বাংলাদেশ' নীতি হৃদয়ে ধারণ করে বিএনপি নেতা বলেন, তারেক রহমান সর্বদা প্রমাণ করেছেন যে তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশের স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব এবং স্থিতিশীলতা।
তিনি বলেন, ‘তিনি (তারেক) সময়ের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে ছাড় দিয়ে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যাত্রায়, তিনি কেবল রাজপথে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী নেতাই নন, বরং সংলাপের টেবিলে এবং গঠনমূলক সম্পৃক্ততায়ও সমানভাবে দক্ষ এবং দূরদর্শী।’
প্রধান উপদেষ্টাকে 'নো ওয়ান ইজ টু স্মল টু মেক আ ডিফারেন্স' এবং 'নেচার ম্যাটার্স: ভাইটাল পোয়েমস ফ্রম দ্য গ্লোবাল মেজরিটি' শীর্ষক দুটি বই এবং একটি কলম উপহার দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, তারেক রাজনৈতিক সৌজন্য এবং জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্রীয় চিন্তাভাবনার একটি নতুন ধারার সূচনা করেছেন।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে এই সৌহার্দ্যপূর্ণ বোঝাপড়া গণতন্ত্র, বাংলাদেশের ও জনগণের বিজয় আনবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের মধ্যে এই সম্প্রীতি ও ঐকমত্যের মাধ্যমে গণতন্ত্র গণতন্ত্র, বাংলাদেশ এবং এর জনগণের বিজয়ের দিকে পরিচালিত করবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, এখন প্রত্যাশা হলো অন্তর্বর্তী সরকার তার ঘোষিত অবস্থান অক্ষুণ্ণ রেখে আগামী রমজানের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু করবে।
সাধারণ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনার পর অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেকের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, শুক্রবার লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টা (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত বৈঠক চলে। এটি বিকাল ৪টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরিকল্পনার আধা ঘণ্টা আগে শেষ হয়।