প্রথম আলোয় হামলা-ভাঙচুর
প্রথম আলোর মামলা, ১৭ জন গ্রেপ্তার, ৩১ জন শনাক্ত
রাজধানীর কাওরান বাজারে প্রথম আলোর অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ পর্যন্ত ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন নজরুল ইসলাম।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে পরের দিন ভোর পর্যন্ত শাহবাগ মোড় থেকে কাওরান বাজার পর্যন্ত বিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতিকারীরা প্রথম আলো ও পরে ডেইলি স্টার পত্রিকার অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়।
পুলিশ, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালালেও বিপুল জনসমাগমের কারণে তাৎক্ষণিক কঠোর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি।
তিনি জানান, থানা পুলিশ ১৩ জন, সিটিটিসি ৩ জন এবং ডিবি ১ জনসহ মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন মো. নাইম (২৬) দেড় লাখ টাকা লুট করেছিলেন, যা দিয়ে সে টিভি ও ফ্রিজ কিনেছিল। অন্যদের মধ্যে আছেন—আকাশ আহমেদ সাগর, মো. আব্দুল আহাদ, বিপ্লব, নজরুল ইসলাম মিনহাজ, মো. জাহাঙ্গীর, সোহেল রানা, মো. হাসান, রাসেল ওরফে শাকিল, আব্দুল বারেক শেখ ওরফে আলামিন, রাশেদুল ইসলাম, সোহেল রানা ও শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপির কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের রাজনৈতিক পরিচয় যাচাই নয়, তারা দুষ্কৃতিকারী। আইন নিজের হাতে নেওয়া যায় না। বাংলাদেশের প্রচলিত বিচারব্যবস্থায় তাদের শাস্তি নিশ্চিত হবে। অপরাধী যে দলেরই হোক বা যে মতাদর্শেরই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত অ্যাকশন নিয়েছে এবং কোনো মানুষ প্রাণহানির ঝুঁকিতে না পড়া নিশ্চিত করেছে। হামলার আড়ালে আরও কিছু বিষয় রয়েছে এবং তদন্ত চলছে।’
ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোতে হামলার মোটিভ বিষয়ে ডিএমপি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা প্রতিরোধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিপি/ এএস
আরও খবর
অসহায় শিক্ষার্থী বাইজিদ হোসেনের পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান
ঢাকা-দিল্লির মধ্যে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান রাশিয়ার
৯০ দিনের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন হবে: আইন উপদেষ্টা
বাংলাদেশ-জাপান ইপিএ আলোচনা সম্পন্ন, যা জানা গেল
হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে যা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা