ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাংবাদিক সায়ের

Bangla Post Desk
বাংলাপোস্ট প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশিত:১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৭ পিএম
ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাংবাদিক সায়ের
গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদি। ছবি: বাংলাপোস্ট

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে (ওএসএসসি) চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।

এর আগে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় গুলি করা হয় হাদিকে।

এদিকে ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন আল-জাজিরার সংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

পোস্টে তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা গত কয়েক মাসে অন্তত ৮০ জন সুব্রত বাইনের মতো আততায়ীকে দেশের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করিয়েছে। আন্ডারওয়ার্ল্ড, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর অঞ্চলের চরমপন্থি গ্রুপ এক হয়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নেতা, এলাকার জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের টার্গেট করে হত্যা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।

সায়ের আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যিনি সুব্রত বাইনের হ্যান্ডলার ছিলেন। জামিনে থাকা পিচ্চি হেলাল ও চরমপন্থি গ্রুপ গণমুক্তি ফৌজের প্রধান মুকুল সম্প্রতি টেলিফোনে কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন।

আল-জাজিরার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বলেন, সুব্রত বাইন কারাগার থেকে তার মেয়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে কনফারেন্স করে পিচ্চি হেলাল ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পলাতক মুকুলের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরবর্তীতে সুব্রত বায়েনের মেয়ে সিনথিয়া বিতু নেপালে পলাতক বিডিআর মামলার পলাতক আসামি লেদার লিটন, পিচ্চি হেলাল, মুকুল, বাড্ডার বড় সাঈদ ও দিপুর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন।

প্রবাসী এই সাংবাদিক পরিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নির্বাচন বানচাল ও দেশকে চরম অস্থিতিশীল করতে বিশেষ একটি গোষ্ঠী সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবে। একতাবদ্ধ থেকে এদের মোকাবিলা করাই একমাত্র উপায়।

এদিকে, ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসেক) চিকিৎসাধীন।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোস্তাক আহমেদ জানিয়েছেন, তাকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখন তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক ছিল। পরে তাকে সিপিআর দিতে হয়। তার মাথার ভেতরে গুলি থাকার পাশাপাশি কানের আশেপাশেও গুলির আঘাত রয়েছে। হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর থেকে সবশেষ জানা গেছে, হাদির অবস্থা ক্রিটিক্যাল থাকায় তাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, হাদির অবস্থা ক্রিটিক্যাল (আশঙ্কাজনক)। তাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে অতিরিক্ত পুলিশ ও ৪ প্লাটুন সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। জরুরি বিভাগের প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।