জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থায়নের আহ্বান বাংলাদেশের

Bangla Post Desk
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থায়নের আহ্বান বাংলাদেশের
ড. ফারহিনা আহমেদ। ছবি- বাংলাপোষ্ট

জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য হ্রাস ও দূষণএই বৈশ্বিক তিন সংকট মোকাবিলায় দৃঢ়, সমন্বিত ও পর্যাপ্ত অর্থায়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।

বৃহস্পতিবার কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সপ্তম অধিবেশন (UNEA-7)-এর প্লেনারিতে বাংলাদেশের ন্যাশনাল স্টেটমেন্ট উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি বলেন, জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো পূর্বানুমানযোগ্য অর্থায়ন ও প্রযুক্তি সহযোগিতা ছাড়া বৈশ্বিক পরিবেশগত সংকট মোকাবিলা করতে পারবে না।

উন্নয়নশীল দেশের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করতে গিয়ে অনেক সময় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ কমে যায়যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। তাই বহুপাক্ষিক পরিবেশ চুক্তির আওতায় সমন্বিতভাবে সম্পদ আহরণের জন্য তিনি UNEA-7এর প্রতি আহ্বান জানান

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিদিনের বাস্তবতা।” চরম আবহাওয়া, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, নদীভাঙনসমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। বৈশ্বিক নিঃসরণের মাত্র ০.৫ শতাংশেরও কম অবদান রেখেও বাংলাদেশ জলবায়ু নেতৃত্বের পরিচয় দিচ্ছেউল্লেখ করে তিনি জানান, উন্নত NDC 3.0 অনুযায়ী ২০৩৫ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশের বিভিন্ন কৌশল ও নীতি বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, সীমিত ভূমিতে ১৮ কোটি মানুষের চাপ জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে

দূষণ নিয়ন্ত্রণে পাতলা পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করার অগ্রগামী সিদ্ধান্তসহ বিভিন্ন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালার উন্নয়নকে তিনি বাংলাদেশের অর্জন হিসেবে উল্লেখ করেন। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বর্ধিত উৎপাদক দায়বদ্ধতা (EPR) নির্দেশিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং একবার ব্যবহারযোগ্য কিছু প্লাস্টিক ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

শেষে তিনি রাসায়নিক ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জীবনচক্রভিত্তিক সমন্বিত পদ্ধতি গ্রহণ এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

বিপি/ এএস