নৌ পরিবহন উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দরে দিনে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা চাঁদা উঠানো হয়

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩১ পিএম
চট্টগ্রাম বন্দরে দিনে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা চাঁদা উঠানো হয়
নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: বাংলা পোস্ট
চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা অবৈধভাবে উঠানো হয় বা চাঁদাবাজি হয় বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বছরের অর্জন ও সাফল্য নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

তিনি বলেন, 'আমি আশ্চর্য হই যখন আপনারা (সাংবাদিক) এগুলো পত্রিকায় দেন একবারও জিজ্ঞাসা করেন না যে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ‌ প্রতিদিন কত অবৈধ টাকা ওঠে। আমি একটা রাফ ফিগার দিতে পারি। মিনিমাম কত টাকা উঠে।'

উপদেষ্টা বলেন, 'প্রত্যেকটি জায়গায় জায়গায় চাঁদাবাজি। দিনের পর দিন ভেতরে ট্রাক দাঁড়ানো, এটা দাঁড়ানোর জায়গা না। কেউ না কেউ এখান থেকে চাঁদা নিচ্ছে। ওখান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, বাইরে গেছে, সেখান থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে।'

'আপনারা নিজেরাই বলেন। আই জাস্ট টেল। আর যে চট্টগ্রামের মেয়র হন উনি চট্টগ্রামের মেয়র কম, বন্দরের রক্ষক বেশি। চট্টগ্রাম বন্দরটা হচ্ছে সোনার ডিম পাড়া মুরগির মতো। তাড়াতাড়ি এটা জবাই করে তাড়াতাড়ি বের করে খেয়ে ফেলো' বলেন উপদেষ্টা।

সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, 'প্রথমে বলা হলো অমুক চলে গেলে তো ভাই বন্দর (চট্টগ্রাম বন্দর) ডাউন হয়ে যাবে। আমি নিজেই ভয় পেয়ে গেলাম কি করব? মিটিং করলাম, বললাম- পাঁচ শতাংশ কম হোক সেটাতেও রাজি। যেখানে দিনের পর দিন লাগতো এখন সেখানে একদিন দেড় দিন, তারও কম সময় লাগছে। ইফিসিয়েন্সি বাড়ছে। আপনারা ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসা করেন না কেন?'

চট্টগ্রাম বন্দরে অবৈধভাবে কত টাকা উঠানো হয়, সেটা বলতে চেয়েছিলেন- তখন উপদেষ্টা বলেন, 'আনুমানিক দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা প্রত্যেকটা দিন ওঠে। আপনি বন্দরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন তারা হয়তো আরও বেশি বলবে।'

বিপি/আইএইচ