‘নির্বাচিত সরকারের পক্ষে এই সরকারের সংস্কার হজম করা কঠিন হতে পারে’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ছবি- সংগৃহীত
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আমার ধারণা, অন্তর্বর্তী সরকার অনেক বেশি সংস্কার করে ফেলেছে এবং বেশি উচ্চাভিলাসী সংস্কার অনেকখানি করে ফেলেছে। যেগুলা নির্বাচিত সরকারের পক্ষে হজম করা বা সহ্য করা একটু কঠিন হতে পারে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনা তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, অধ্যাদেশের মাধ্যমে অনেক বড় বড় সংস্কার হচ্ছে। এগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কমিটির সুপারিশ ছিল এবং মন্ত্রণালয় থেকেও বহু প্রস্তাব এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা অনেক অধ্যাদেশ রেখে যাচ্ছি। যেমন বিচার বিভাগকে স্বাধীন করার একটা অধ্যাদেশ হলো। তাদের হাতে বেশি স্বাধীনতা দিয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা, তা নতুন সরকার এসে নিশ্চয়ই আবার দেখবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। কারণ, এখন ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতিদিনের সিদ্ধান্ত- জামিন, রিমান্ড বা দণ্ড কোনোটিই আর আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই। নতুন সরকার অবশ্যই বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করবে। তবে তার আশা, এ সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রমের মূল নির্যাসটুকু নির্বাচিত সরকার গ্রহণ করবে কারণ জনগণের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখেই তাদের কাজ করতে হবে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, প্রকল্প পরিচালকদের সমস্যা রয়েই গেছে। মুশকিল হলো যে এখন কেউ প্রকল্প পরিচালক হতে চাচ্ছেন না। আর ঠিকাদারেরাও এখন বেশি উৎসাহী হচ্ছে না। তিনি বলেন, যত দূর শুনেছি, দুর্নীতি খুব কমেনি বা চাঁদাবাজি। এসবও শোনা যাচ্ছে।
এ সময় তিনি বিভিন্ন খাতের সংস্কার কমিটি, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), ক্রয় নীতিমালাসহ বিভিন্ন সংস্কার তুলে ধরেন। পরবর্তী জাতীয় সংসদ এসব অধ্যাদেশ পর্যালোচনা করে আইন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেস্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ১৭টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এসব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৫ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থ ৯ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। বিদেশি ঋণ ৫১০ কোটি টাকা। বাকি ৩৭৯ কোটি টাকা বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর নিজস্ব যোগান।
