ড্যাবের নির্বাচনে জয় পেলেন হারুন-শাকিল পূর্ণ প্যানেল


বিএনপির চিকিৎসক সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কাউন্সিলে হারুন-শাকিল পূর্ণ প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে পেশাজীবী এই সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হলো।
দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই ভোটগ্রহণ চলে। ড্যাবের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার। তিনি শনিবার রাত সাড়ে ১২টার পর নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন।
এসময় নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা এবং উভয় প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ ড্যাবের চিকিত্সক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ড্যাবের নির্বাচনে পদসংখ্যা পাঁচটি। পদগুলো হলো- সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, মহাসচিব, কোষাধ্যক্ষ ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ হাজার ১১৭ জন। ভোট পড়েছে হয়েছে ২৬০০টি। নির্বাচন উপলক্ষে দুইটি প্যানেলে ঘোষণা করা হয়। হারুন-শাকিল প্যানেলের সভাপতি পদে অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ পেয়েছেন ১৩৬৯ ভোট, মহাসচিব পদে ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল পেয়েছেন ১৪৫৮ ভোট, সিনিয়র সহসভাপতি পদে ডা. আবুল কেনান পেয়েছেন ১৩৩০ ভোট, কোষাধ্যক্ষ পদে ডা. মো. মেহেদী হাসান পেয়েছেন ১৩১২ ভোট এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে ডা. এ কে এম খালেকুজ্জামান দিপু পেয়েছেন ১৩১৬ ভোট। এই প্যানেল পূর্ণ জয়ী হয়েছে।
অন্যদিকে আজিজ-শাকুর প্যানেলের সভাপতি পদে অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক পেয়েছেন ১২০২ ভোট, মহাসচিব পদে ডা. আব্দুস শাকুর খান ১০৭৯ ভোট, সিনিয়র সহসভাপতি পদে ডা. সাইফ উদ্দিন নিসার আহমেদ তুষার পেয়েছেন ১২৩৩, কোষাধ্যক্ষ পদে ডা. তৌহিদ উল ইসলাম পেয়েছেন ১২৫৯ ভোট এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে ডা. আবু মো. আহসান ফিরোজ পেয়েছেন ১২৪৯ ভোট। এই প্যানেলের কেউ জয়ী হননি।
দুই প্যানেলের মধ্যে অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ২০১৯ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ড্যাবের নেতৃত্বে ছিলেন। ডা. আজিজুল হক ২০০৫ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ড্যাবের সভাপতি ছিলেন।
ড্যাবের নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শনিবার ড্যাবের কাউন্সিলের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বলা যায় নির্বাচন বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। ভোটারদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের নেতা নির্বাচন করেছেন। যা ইতিবাচক বিষয় এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।