গরমে সুস্থ থাকুন কিশমিশ ভেজানো পানির জাদুতে

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৪ পিএম
গরমে সুস্থ থাকুন কিশমিশ ভেজানো পানির জাদুতে
ছবি : সংগৃহীত

গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমের ফলে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়, ফলে ডিহাইড্রেশন, ক্লান্তি ও হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসময় নিজেকে হাইড্রেট রাখা যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন পুষ্টিকর কিছু উপাদানও। এক গ্লাস পানিতে রাতভর ভিজিয়ে রাখা কিছু কিশমিশ হতে পারে আপনার গরমে সুস্থ থাকার গোপন চাবিকাঠি। এই পানীয়টি শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও অনন্য। চলুন জেনে নিই এর উপকারিতা—

প্রাকৃতিক শক্তির উৎস
কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক চিনি-ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ-শরীরে দ্রুত শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। গরমে ক্লান্ত লাগলে এই পানীয় দারুণভাবে আপনাকে সতেজ করে তুলবে। ব্যায়াম শুরুর আগে বা পরে এটি হতে পারে একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক।

শরীরকে ডিটক্স করে
আমাদের লিভার ও কিডনি প্রতিনিয়ত শরীরের টক্সিন পরিষ্কারে কাজ করে। কিশমিশ ভেজানো পানি সেই প্রক্রিয়াকে আরও মসৃণ করে তোলে। এতে থাকা নানা উপাদান লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং শরীরের ভেতরকার বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে।

হজমে সহায়তা করে
গরমে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এলেই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। কিশমিশে রয়েছে উচ্চমাত্রায় খাদ্যতন্তু, যা অন্ত্র পরিষ্কারে সহায়তা করে। পানিতে ভিজিয়ে খেলে এগুলো আরও সহজপাচ্য হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কিশমিশ ভেজানো পানি হজমের সমস্যা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

খনিজের প্রাকৃতিক ভাণ্ডার
গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইট। কিশমিশ ভেজানো পানিতে থাকে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ; যা শরীরের তরল ভারসাম্য রক্ষা করে, পেশির খিঁচুনি কমায় এবং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ চাপ শরীরের কোষে ক্ষতি করতে পারে। কিশমিশে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে ফেনলিক যৌগ, শরীরকে এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। নিয়মিত কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলে দীর্ঘমেয়াদী রোগের ঝুঁকি কমে এবং বার্ধক্যও ধীর হয়।

এই গরমে প্রতিদিন এক গ্লাস কিশমিশ ভেজানো পানি পান করুন, যা আপনার শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা, শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে। তবে যেকোনো নতুন খাদ্যাভ্যাস শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ উচিত।