রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত:০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম
রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
ছবি : সংগৃহীত

রসায়নে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এবার রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন এবং ওমার এম ইয়াগি। ‘মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্ক’ ডেভেলপের কারণে তাদের এ বছর রসায়নে নোবেল দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সুইডিশ অ্যাকাডেমি।

স্থানীয় সময় বুধবার (৮ অক্টোবর) সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে তাদের নাম ঘোষণা করেছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।

১৯০১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রসায়নে ১১৮টি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৯০১ সালে প্রথম নোবেল পান জ্যাকবাস এইচ. ভ্যান হফ। রসায়নে দুইবার করে নোবেল পেয়েছেন ফ্রেডেরিক স্যাঙ্গার ও ব্যারি শার্পলেস।

এদিকে, রসায়নের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পেয়েছেন ফ্রেডেরিক জোলিয়ট। ১৯৩৫ সালে এ পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৩৫ বছর। আর সবচেয়ে বেশি বয়সে রসায়নে নোবেল পেয়ে তাক লাগিয়ে দেন জন বি. গুডএনাফ। ৯৭ বছর বয়সে নোবেল পেয়েছিলেন তিনি।

এখন পর্যন্ত রসায়নে ২৭টি নোবেল ভাগ করে নিয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। আর রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের মধ্যে নারী বিজ্ঞানী রয়েছেন আট জন।

প্রথা অনুযায়ী অক্টোবরের প্রথম সোমবার চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সে হিসেবে এবার ৬ অক্টোবর নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। এদিন, চিকিৎসাশাস্ত্র বা ওষুধশাস্ত্রে মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাকাগুচি যৌথভাবে ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ সংক্রান্ত তাদের যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য নোবেল প্রাপ্ত হন।

নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই তিন বিজ্ঞানীর আবিষ্কার শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভারসাম্য বোঝার নতুন পথ উন্মোচন করেছে। এর ফলে ক্যানসার ও অটোইমিউন রোগের চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে।

মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং ইলেকট্রিক সার্কিটে এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন গবেষণার জন্য জন ক্লার্ক, মাইকেল ডেভোরেট এবং জন মার্টিনিসকে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর ৫ বছর পর ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

প্রতি বছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হয়। প্রত্যেক বিভাগের বিজয়ীদের একটি স্বর্ণপদক, প্রশংসাপত্রসহ একটি ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা দেওয়া হয়।