টিকটকে ট্রাম্পের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত:২০ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম
টিকটকে ট্রাম্পের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট
ছবি : সংগৃহীত

এখন থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য পাওয়া যাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ট্রাম্পের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিওর মাধ্যমে হোয়াইট হাউজের তরফ থেকে নতুন অ্যাকাউন্টটি প্রকাশ করা হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

@হোয়াইট হাউজ নামের ওই অ্যাকাউন্টের প্রথম ভিডিওতে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, আমি আপনাদের কণ্ঠস্বর (আই অ্যাম ইওর ভয়েস)। এর ক্যাপশনে লেখা ছিল, “আমরা ফিরে এসেছি আমেরিকা। টিকটকের কী হালচাল?”

আমেরিকার টিকটকের ১৭ কোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। ফলে এই মাধ্যম ব্যবহার করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথাবার্তা প্রচারে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।

অ্যাপটির প্রতি ট্রাম্পের নিজেরও কিছুটা বাড়তি গুরুত্ব বহন করে। গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে টপকে তরুণ ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের জনমত বৃদ্ধিতে টিকটকের স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিওর ব্যাপক ব্যবহার করেছিল রিপাবলিকান শিবির। @রিয়েল ডোনাল্ড ট্রাম্প নামের ওই অ্যাকাউন্টটি অবশ্য ট্রাম্পের প্রেসিডেনশিয়াল অ্যাকাউন্ট ছিল না।

নির্বাচনি প্রচারণার সময় ট্রাম্পের টিকটক অ্যাকাউন্টে অনুসারীর সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এছাড়া, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজ মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে যথেষ্ট সক্রিয় থাকেন। কালেভদ্রে এক্স অ্যাকাউন্টেও পোস্ট করেন ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লিয়াভিট বলেছেন, মার্কিন জনগণের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যত ঐতিহাসিক সাফল্য আছে, তার সবই প্রচার করতে কাজ করে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এজন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক জনগণ ও মাধ্যম ব্যবহার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেনশিয়াল প্রচারণার সময় ট্রাম্পের কথাবার্তা টিকটক দাবড়ে বেড়িয়েছিল। ওই সাফল্যের ভিত্তির ওপর আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই। আমরা জনগণের সঙ্গে এমন সব উপায়ে যোগাযোগ করব, যা আগের কোনও প্রশাসন করেনি।

অবশ্য, টিকটক নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতারা সবসময়ই সন্দেহবাতিক ছিলেন। তাদের আশঙ্কা, এই অ্যাপ ব্যবহারের কারণে মার্কিন নাগরিকদের সংবেদনশীল তথ্য সহজেই হাতিয়ে নিতে পারছে চীনা সরকার। পূর্ববর্তী এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অ্যাপটির মালিকপক্ষ চীনা সরকারের প্রতি অনুগত এবং তাদের মাধ্যমে মার্কিন নাগরিকদের (চীনা স্বার্থে) প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা চালানো হতে পারে।

টিকটকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল বাইডেন প্রশাসন। ২০২৪ সালের এক আদেশে বলা হয়, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের চীনা মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে হয় মার্কিন শাখা বিক্রি করে দিতে হবে নতুবা বিক্রিতে যথেষ্ট অগ্রগতি দেখাতে হবে। নইলে নির্ধারিত সময়ের পর মার্কিন মুলুকে কার্যক্রম চালাতে পারবে না টিকটক।

অবশ্য, ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজের মসনদে বসে বাইডেন প্রশাসনের আদেশ প্রয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। এখন পর্যন্ত তিনবার বাইটড্যান্সের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধি করেছেন ট্রাম্প। তৃতীয় দফার সময় শেষ হবে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর।

এদিকে, বাইটড্যান্স ও মার্কিন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদনের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন ট্রাম্প।

বাইটড্যান্সের ডেডলাইন বৃদ্ধিতে ট্রাম্পের ওপর চটেছেন অনেক আইনপ্রণেতা। তাদের অভিযোগ, টিকটকের ওপর চীনা নিয়ন্ত্রণের কারণে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ সম্পূর্ণ উপেক্ষা করছেন ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, ট্রাম্প প্রশাসন আইনকে নিজেদের মর্জিমতো ব্যবহার করছে।