ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৭ জুলাই ২০২৫, ১১:৩০ এএম
ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’

বর্ষাকালে বরাবরই ঢাকার বাতাসের মান অন্য সময়ের তুলনায় ভালো হয়ে ‍উঠতে দেখা যায়। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সেই প্রভাব লক্ষ করা গেছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে থাকলেও তা ‘ভালো’ হয়ে ওঠার কাছাকাছি রয়েছে।

তবে ঢাকার মতোই প্রায়ই দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর আজ আবার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। একই সময়ে দাবানলের ধোঁয়ার কারণে কানাডার মন্ট্রিয়ালের বায়ুদূষণ বেড়ে গেলেও আজ কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।

রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকার একিইআই স্কোর ছিল ৫৮। এই স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার ৫১তম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকাল একই সময়ে ৬৯ একিউআই স্কোর নিয়ে ‘মাঝারি’ শ্রেণিভুক্ত ছিল ঢাকার বাতাস।

এদিকে গতকাল তালিকার শীর্ষে থাকলেও মন্ট্রিয়ালের বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি দেখা গেছে। ১৫৪ স্কোর নিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে শহরটির, গতকাল যা ছিল ১৭৩।

কানাডার পরিবেশবিষয়ক সংস্থা এনভায়রনমেন্ট কানাডার তথ্যমতে, প্রেইরিজে ছড়িয়ে পড়া দাবানলের ধোঁয়ার কারণে মন্ট্রিয়ালের বাতাসের মান খারাপ হয়ে পড়েছে এবং ওই এলাকায় দৃশ্যমানতাও কমে গেছে। আজ পর্যন্ত দূষণের মাত্রা বেশি থাকতে পারে সতর্ক করেছিল সংস্থাটি।

এদিকে, প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বাতাসের শহরগুলোর শীর্ষ পাঁচে থাকলেও গতকাল বেশ উন্নতি দেখা গিয়েছিল লাহোরের। ১৪৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার একাদশ স্থানে নেমে গিয়েছিল শহরটি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই ফের যা তাই। আজ সকালে লাহোরের বাতাসের একিউআই সূচক ১৭০, অবস্থান দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।

একই সময়ে আজ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে বাহরাইনের মানামা, শহরটির একিউআই স্কোর ১৭৫। অন্যদিকে ১৬৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতা।

কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।