ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি নেই

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১১ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি নেই

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পর আজ শুক্রবার মুখ বের করেছে সূর্য। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রৌদ্রজ্জ্বল সকাল শুরু করেছে ঢাকাবাসী। তবে রাস্তায় যানবাহনের কম চাপ ও বাইরে মানুষের কম আনাগোনা সত্ত্বেও ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি হয়নি।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল সেয়া ৯টার দিয়ে ঢাকার বায়ুমানে বরং কিছুটা অবনতি লক্ষ করা গেছে। গতকাল এই সময়ে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৭৯, আজ তা কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৮৫।

তবে গতকাল দূষণের এই সূচক ৭৯ নিয়েও বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল চতুর্দশ। আজ মানে কিছুটা অবনতি হলেও এই তালিকার অষ্টাদশ স্থানে অবস্থান করছে শহরটি।

এই সময় ১৭৩ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর ছিল চিলির সান্তিয়াগো। এরপর ১৬৬ ও ১৬৪ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল উগান্ডার কাম্পালা ও কঙ্গোর কিনশাসা।

বরাবরের মতো আজও শীর্ষ পাঁচেই ছিল পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির একিউআই স্কোর ১৬১, আর পঞ্চম স্থানে থাকা মিসরের কায়রোর স্কোর ১৫৯। অর্থাৎ, সবচেয়ে দূষিত পাঁচটি শহরের বাতাসের মানই আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’।

এই সময় ভারতের দিল্লিকে এই তালিকার সপ্তমে অবস্থান নিতে দেখা যায়। শহরটির একিউআই স্কোর ছিল ১৩৪।

বৃষ্টিতে ঢাকার মানে পরিবর্তন আসার কথা থাকলেও বেশ কয়েকদিন ধরেই শহরটির বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়েই রয়েছে। একিউআই স্কোরের কিছুটা পরিবর্তন হলেও শহরটির বায়ুমান এখনও ‘ভালো’ হয়ে উঠতে পারেনি, বলা চলে ‘ভালো’ মানের কাছাকাছিও যেতে পারেনি।

কারণ বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।

কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।