ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘ভালো’


গত দু-তিন দিন ধরেই ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি দেখা যাচ্ছিল। এরই ধারাহিকতায় গতকাল রাতের বৃষ্টির পর আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকার বাতাস হয়ে উঠেছে ‘ভালো’।
তবে ৩ দিন আগেও শহরটির বাতাস ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’। সোমবার (২১ জুলাই) একিউআই স্কোর ১৫২ নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছিল ঢাকা। অবশ্য সেটিই সাধারণ চিত্র। তবে ব্যতিক্রম ঘটেছে আজ। শহরটি ‘ভালো’ বাতাস নিয়ে তালিকার নিচের দিকে চলে গেছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিইআই স্কোর ছিল ৪৪। এই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়।
গত দুদিন ধরেই ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়ে ছিল। তবে তা ছিল ‘ভালো’ হয়ে ওঠার খুবই কাছাকাছি। গতকাল এই সময়ে শহরটির একিউআই স্কোর ছিল ৫৫। তার আগের দিন (বুধবার) একই সময়ে ৬১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ৪০তম স্থানে ছিল ঢাকা।
বাতাসের মানের উন্নতির এই ধারা বজায় রেখে আজ ভালো বাতাস নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৮৩তম স্থানে ছিল ঢাকা। এমন চিত্র সচরাচর দেখা যায় না।
এদিকে, আজ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে উগান্ডার কাম্পালা, একিউআই স্কোর ১৭২। এরপর ১৭০ ও ১৬২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতা ও মালয়েশিয়ার কুচিং শহর।
এই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো— স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।