সকালের বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:১৯ পিএম
সকালের বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি

বর্ষাকালে সাধারণত ঢাকার বাতাসে মানে উন্নতি দেখা যায়। তবে সকালে বৃষ্টির পরও আজ বিপরীত চিত্র উঠে এসেছে। রাতভর বৃষ্টি, এরপর সকাল থেকে ঝুম বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাসের মানে গতকালের তুলনায় অবনতি লক্ষ করা গেছে।

বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৯৭, যেখানে ১০০ স্কোর থাকলে সেটি ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

গতকাল প্রায় একই সময়ে ঢাকার স্কোর ছিল ৭৮। এই স্কোর  নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ২৩তম স্থানে ছিল ঢাকা। অথচ অবনতির কারণে আজ ঢাকা উঠে এসেছে তালিকার চতুর্দশ স্থানে।

অন্যদিকে, গতকাল এই তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা ভারতের দিল্লি আজ অবস্থান করছে ৩৮তম স্থানে। একিউআই স্কোর ৬২ নিয়ে ‘মাঝারি’ বায়ুমান অর্জন করেছে শহরটি।

যদিও আজ ঢাকার বাতাসও বায়ুমান সূচক অনুযায়ী ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে, তবে সেটি সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে মাত্র ৩ পিছিয়ে।

একই সময়ে আজ ১৭৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহর কঙ্গোর কিনশাসা। এই সময় ১৫৯, ১৫৬ ও ১২৯ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দূষিত শহর ছিল যথাক্রমে উগান্ডার কাম্পালা, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। 

সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।