ঢাকার পুঁজিবাজারে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন


চলতি বছরের সর্বোচ্চ ৬৯০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। পাশাপাশি বেড়েছে সূচক এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বুধবার (৯ জুলাই) বছরের তৃতীয়বারের মতো ৬০০ কোটি টাকার লেনদেনের মাইলফলক ছুঁলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। একই সঙ্গে বেড়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের ৫৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট করে।
ডিএসইতে সূচক এবং লেনদেনের পাশাপাশি দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৭৩, কমেছে ৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড— এই তিন ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেওয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরিতে থাকা ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ১৪৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ৩২ কোম্পানির ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। মিডল্যান্ড ব্যাংক সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
৯.৯৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে রহিম টেক্সটাইল মিলস এবং ৮ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও উত্থান
ঢাকার মতো সূচকের উত্থান হয়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও, সার্বিক সূচক বেড়েছে ১২৯ পয়েন্ট।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ২৩৩ কোম্পানির মধ্যে ১৫১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৪৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
সারাদিনে সিএসইতে ৪৮ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে নিউ লাইন ক্লোথিং।