দেশের ১৪ পিটিএই-তে ডিপিইডি প্রোগ্রামে ভর্তি শুরু জানুয়ারিতে

Bangla Post Desk
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২২ পিএম
দেশের ১৪ পিটিএই-তে ডিপিইডি প্রোগ্রামে ভর্তি শুরু জানুয়ারিতে
ছবি- সংগৃহীত

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)–এর পরিচালনায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে দেশে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিইডি) প্রোগ্রামে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। দেশের ১৪টি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (পিটিএই) এই প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

উপদেষ্টা জানান, ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, বগুড়া, যশোর ও দিনাজপুর—এই ১৪টি পিটিএই-তে নতুন ব্যাচে প্রশিক্ষণ শুরু হবে ১০ মাস মেয়াদে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনার্স পাস প্রার্থীরা এই কোর্সে আবেদন করতে পারবেন।

ডিপিইডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ডিগ্রি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ন্যূনতম জিপিএ ২.৫ থাকতে হবে। তবে প্রার্থীর শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ থাকলে আবেদন করা যাবে না। নির্ধারিত যোগ্যতা পূরণকারী আবেদনকারীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

ভর্তিচ্ছুদের দেশব্যাপী ডিপিএডি বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, যার সময়সীমা ৫০ মিনিট। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা পরবর্তী ধাপে পিটিএই-এর নির্ধারিত শর্ত অনুযায়ী ভর্তি হতে পারবেন।

ডিপিইডি প্রোগ্রামে মোট ১,২০০ নম্বরের মূল্যায়ন হবে। সমগ্র কোর্সটি ১০ মাসব্যাপী পরিচালিত হবে। পাঠ্যসূচিতে থাকবে শিক্ষা পরিকল্পনা, শিক্ষণ পদ্ধতি, পাঠ্যবই বিশ্লেষণ, শিশুর বিকাশ ও মনোবিজ্ঞান, মেন্টরিং, নেতৃত্ব, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানে দক্ষতা উন্নয়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সামাজিক দক্ষতা, নৈতিকতা, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা, শিক্ষা মূল্যায়নসহ আধুনিক শিক্ষণ দক্ষতা বৃদ্ধির বিভিন্ন বিষয়।

এ প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের পেশাগতভাবে দক্ষ শিক্ষক হিসেবে প্রস্তুত করবে। প্রশিক্ষণ, শিক্ষণ কোচিং ও মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে তারা আধুনিক শিক্ষণ–পদ্ধতিতে পারদর্শী হয়ে উঠবেন। প্রোগ্রাম শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা দায়িত্বশীল শিক্ষক হিসেবে তাদের কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন, যা দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে উপদেষ্টা জানান।