জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন রাজনৈতিক সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

Bangla Post Desk
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন রাজনৈতিক সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি- সংগৃহীত

ডিসি, ইউএনও-কে পাঠিয়ে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এই সমস্যার সমাধানের জন্য রাজনৈতিক সরকার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এখন ধান কাটার মৌসুম। এ সময়ে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী, এটা কি কোনো সিন্ডিকেটের কারণে, নাকি অন্য কোনো কারণে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চালটা অনলি সাপ্লাই এর ওপর ডিপেন্ড করে না। সাপ্লাই ছাড়াও ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলগুলো, এগুলো তো বেশিরভাগ হোলসেল এবং রিটেলের ওপর ডিপেন্ড করে। অতএব এইটার দায়িত্ব তো আমাদের ভক্ত অধিকারী আছে, লোকাল এডমিনিস্ট্রেশন আছে ওরা দেখবে। আর সবচেয়ে বেশি হলো আমাদের যারা ব্যবসায়ীরা আছে তাদেরকে একটু দায়ত্বশীল হতে হবে। সমস্যা হল পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কিন্তু এইভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে না। বাড়ে কিন্তু যথেষ্ট যৌক্তিক কারণে। এখানে দেখা যাচ্ছে অনেক চাল আছে তবুও হঠাৎ এক জায়গায় ওরা মিলে মিশে করে।

তিনি বলেন, এগুলোর সমাধান প্রশাসনিকভাবে হয় না। এগুলি সমাধান কিন্তু একটা রাজনৈতিক সরকার করতে পারে। কারণ তাদের এই মোরাল সমাধান করার সিস্টেম সেটা থাকে। তাদের ভয়েসটা দিতে পারে। তাদের কর্মীরা আছে। তাদের সেটাআপ আছে। কিন্তু এই প্রশাসন থেকে ডিসিকে পাঠিয়ে, ইউএনএ-কে পাঠিয়ে এগুলি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।

পুলিশের বডি ক্যামেরা কেনা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন বলেন, বডি ক্যামেরাটা আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিদ্ধান্ত হয়েছে ওদের রেসপেক্টিভ যে এজেন্সি আছে ওদেরকে আমরা বলে দিয়েছি বাজেট যেটা আছে ওটা আপনারা ব্যবহার করেন।

এর আগে আপনি বলেছিলেন শুধু সেনসিটিভ জায়গার জন্য বডি ক্যামেরাটা দেওয়া হবে, সে হিসাবে এখন সংখ্যাটা কত হতে পারে?

সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, এটা আমি ঠিক করবো না, এটা তো আমার আমাদের দায়িত্ব না। এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের যে এজেন্সিগুলো আছে তাদের সাথে বসে করবে। ওখানে ইনভল্ভ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিরেক্টলি এবং ইসিরও কিন্তু ওই বডি ক্যামেরার ব্যাপারে দায়িত্ব নাই। 

তিনি বলেন, ইসি বলে দেবে যে এসব জায়গায় তোমরা নেবে এবং ক্যামেরা বা কি কি সুরক্ষা করবে এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। ওদের পুলিশ, বিজিবি আছে, ওদের র্যা ব আছে এবং অন্যান্য যে সংস্থাগুলো আছে তারা করবে।