বাড়তি মাছের দাম, স্বস্তি মুরগি-ডিমে

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২২ পিএম
বাড়তি মাছের দাম, স্বস্তি মুরগি-ডিমে
ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। তবে মুরগি ও ডিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম। এদিকে গরু-খাসির মাংসের বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রী এলাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, আজকের বাজারে চাষের রুই-কাতলা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়। পাবদা ছোট সাইজের ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০–৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিং ৪০০–৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০–৭০০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০–৪৫০ টাকা, পুঁটি ২০০–২৫০ টাকা। তেলাপিয়া ২৫০–৩০০ টাকা, নাইলোটিকা ২২০–২৮০ টাকা এবং পাঙাশ ও সিলভার কার্প ২০০–২৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

সামুদ্রিক মাছের মধ্যে লইট্যা ২৫০-৩০০ টাকা হলেও কোরাল ৭০০–৯০০ টাকা এবং আইড় ৬০০–৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাগদা ও গলদা চিংড়ি প্রকারভেদে ৭৫০ থেকে ১,২০০ টাকার মধ্যে মিলছে। ইলিশের দামও অপরিবর্তিত– দুই কেজি ওজনের মাছ ২,৬০০–৩,০০০ টাকা, এক কেজির ইলিশ ২,২০০–২,৫০০ টাকা এবং ছোট জাটকা ৫০০–৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, মুরগি ও ডিমের দাম সপ্তাহজুড়ে কিছুটা কম থাকায় এ খাতে ভরসা মিলছে ক্রেতাদের। যে কারণে ব্রয়লার মুরগির দোকানে ক্রেতাদের ভিড়ও তুলনামূলক বেশি দেখা গেছে। আজকের বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৬০–১৬৫ টাকা, সোনালি ২৯০–৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিম ডজনপ্রতি ১২০ টাকা, সাদা ১২০–১২৫ টাকা এবং হাঁসের ডিম ১৯০–২০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে গরু-খাসির মাংসের বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১,২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে মাছের দাম তুলনামূলক একটু বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতা মাছের বদলে ব্রয়লার মুরগি কিনেই বাসায় ফিরছেন।

বনশ্রী এ ব্লক কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা হাবিব জানান, ‘রুই–কাতলার দামেও এখন আর আগের মতো স্বস্তি নেই। মাঝারি সাইজের যে কোনও মাছ কিনলেই ৪০০–৫০০ টাকা লেগে যায়। দেশি বা নদী-নালার মাছে তো হাত দেওয়ার মতো অবস্থা নেই। এর চেয়ে বরং ব্রয়লার মুরগিই ভালো।’

রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কিছুটা কম থাকায় দাম বেশি।

এদিকে বনশ্রী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী কাদের মিয়াও সুর মিলিয়ে বলেন, ‘নদীর মাছ আনা কমেছে, পাইকারি বাজারেও চাপ আছে। দাম কমানোর সুযোগ নেই।’

পোলট্রি বিক্রেতাদের দাবি, ফিড ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দাম পুরোপুরি আগের স্তরে নামানো কঠিন।

মুরগির বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ব্রয়লার মোটামুটি ঠিক আছে। দাম কিছুটা কম থাকলে আমাদের বিক্রিও ভালো হয়।’

রামপুরা বাজারের ক্রেতা হাকিম বলেন, ‘মুরগির কেজি ১৫০–১৬০ টাকার মধ্যেই যুক্তিসংগত। তুলনামূলক একটু কম থাকায় একটু বেশি করে নিয়েছি। তবে শুনেছি ঢাকার বাইরে ব্রয়লার মুরগির দাম ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। তারপর সব মিলিয়ে এই দামটাই ঠিক আছে।’