অনুমোদন পেল ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’

Staff Reporter
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশিত:১১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯ এএম
অনুমোদন পেল ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’
ফাইল ছবি

দেশের ব্যাংকিং খাতে এক বড় পরিবর্তন এনে পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক একীভূত হয়ে যাচ্ছে। এই একীভূতকরণের মাধ্যমে গঠিত নতুন ব্যাংকটির নাম হবে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি এই নতুন প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত ধাপে আনুষ্ঠানিক অনাপত্তিপত্র জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট (বিআরপিডি) এই প্রক্রিয়াটি শেষ করেছে।

যে পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, সেগুলো হলো- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি, এক্সিম ব্যাংক পিএলসি ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।

এই একীভূতকরণের উদ্যোগটি একটি পরামর্শক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নেওয়া হয়।

এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে এফআইডি একটি অফিস আদেশ জারি করে। এই আদেশে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আট সদস্যের একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর-৪।

৫ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে এফআইডি-এর সেন্ট্রাল ব্যাংক উইং থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি চিঠি দেওয়া হয়, যেখানে পরামর্শক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন নামের জন্য অনাপত্তিপত্র ইস্যু করার অনুরোধ জানানো হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে একটি অ্যাপ্লিকেশন ইভ্যালুয়েশন কমিটি (AEC) গঠিত হয়। এই কমিটির সুপারিশ এবং গভর্নরের অনুমোদনের পর বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে উত্থাপিত হয়।

পর্ষদের অধিকাংশ সদস্যই নতুন ব্যাংকটির জন্য অনাপত্তিপত্র বা 'লেটার অব ইনটেন্ট' দেওয়ার পক্ষে মত দেন।

চূড়ান্ত অনুমোদনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক 'সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি' প্রতিষ্ঠার জন্য অনাপত্তিপত্র প্রদান করে। একই সঙ্গে, প্রস্তাবিত ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এবং অন্যান্য প্রযোজ্য বিধিবিধান পূরণ করে পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রত্যাশা করছে যে এই একীভূতকরণের ফলে দেশের ইসলামি ব্যাংকিং খাতে শক্তিশালী শাসনব্যবস্থা, স্থিতিশীলতা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত হবে।