চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন মাশুল কার্যকর ১৫ অক্টোবর থেকে

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৮ পিএম
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন মাশুল কার্যকর ১৫ অক্টোবর থেকে

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন মাশুল কার্যকরে নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন মাশুল কার্যকর হবে ১৪ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে। আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে তা চালু হবে। তবে বন্দর বোর্ডের সিদ্ধান্তে এক মাস পিছিয়ে এ সময় নির্ধারণ করা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের পর থেকে বন্দরে আগত সব জাহাজের ভাড়া বিল, কনটেইনার ও কার্গো বিল নতুন হারে আদায় করা হবে। একই সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও নৌপরিবহন এজেন্টদেরও নতুন সূচি অনুযায়ী অর্থ জমা দিতে হবে। জাহাজ ছাড়পত্র (এনওসি) আবেদন ও ব্যাংক হিসাব খোলার ক্ষেত্রেও নতুন নিয়ম অনুসরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘১৪ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে নতুন মাশুল কার্যকর হবে। এ লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বন্দরের বিভিন্ন সেবা খাতে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতিক্রিয়ার মুখে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ২০ সেপ্টেম্বর তা এক মাসের জন্য স্থগিত রাখেন।

চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে ৫২টি খাতে মাশুল আদায় হয়। এর মধ্যে ২৩টি খাতে সরাসরি নতুন হারে ট্যারিফ কার্যকর করা হচ্ছে। গেজেট অনুযায়ী ভাড়া, টোল, ফি ও মাশুল ডলারের বিনিময়মূল্যের ভিত্তিতে আদায় করা হবে। প্রতি ডলারের হার ধরা হয়েছে ১২২ টাকা। হার বাড়লে মাশুলও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়বে।

সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি হয়েছে কনটেইনার পরিবহন খাতে। প্রতি ২০ ফুট কনটেইনারে মাশুল ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা, যা আগের ১১ হাজার ৮৪৯ টাকার চেয়ে ৪ হাজার ৩৯৫ টাকা বেশি। এতে গড়ে প্রায় ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। আমদানি কনটেইনারে ৫ হাজার ৭২০ টাকা এবং রপ্তানি কনটেইনারে ৩ হাজার ৪৫ টাকা বেশি দিতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি কনটেইনার ওঠা-নামার ক্ষেত্রেও প্রায় ৩ হাজার টাকা বাড়তি খরচ যুক্ত হবে। ফলে সামগ্রিকভাবে কনটেইনার পরিবহনে ২৫ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বাড়বে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন মাশুল আদায় প্রক্রিয়া নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভুলভাবে কার্যকর করতে বিল প্রস্তুতের সফটওয়্যার দ্রুত হালনাগাদ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সফটওয়্যার উন্নয়ন, পদ্ধতি যাচাই এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।