সরকার নিয়ে অনেকে নেতিবাচক বললেও বহির্বিশ্বে ভাবমূর্তি ভালো: অর্থ উপদেষ্টা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
সরকার নিয়ে অনেকে নেতিবাচক বললেও বহির্বিশ্বে ভাবমূর্তি ভালো: অর্থ উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না– কেউ কেউ এমন নেতিবাচক বয়ান দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ ধরনের বয়ান অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও দুর্বল করছে, ফ্যাসিস্টকে উৎসাহ দিচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন খাতে অগ্রগতিতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অত্যন্ত ভালো।

সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে ইআরএফ ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন এবং করপোরেট সেক্টরে আর্থিক স্বচ্ছতা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে ইতিবাচক কথা বলার আহ্বান জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে সবই ভালো করছে, তা নয়। তবে ইতোমধ্যে অর্থিক খাতসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভালো কাজ হয়েছে। এসব কারণে দেশের বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অত্যন্ত ভালো। তিনি নিজে বিভিন্ন দাতা সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা সবাই বাংলাদেশকে নিয়ে ইতিবাচক।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকার অথর্ব বলে মন্তব্য করেন একজন। ওই ব্যক্তি আবার পরে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার টাকা-পয়সা মারেনি, ব্যাংককে আরও স্ট্যাবল করেছে, রিজার্ভও বেড়েছে।

তিনি বলেন, কিছু গণমাধ্যম এমন সব খবর পরিবেশন করে যা কখনও কখনও সরকারকে দুর্বল করে বা ফ্যাসিস্ট শক্তিকে প্রভাবিত করে। সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল, গঠনমূলক ও তথ্যভিত্তিক রিপোর্টিংয়ে মনোযোগী হতে হবে। যখন ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হয়, তখন আস্থা তৈরি হয়, কিন্তু বেপরোয়া সংবাদ আস্থাহীনতা তৈরি করে।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কোম্পানিগুলোয় যে কত ধরনের তেলেসমাতি হয়, তিনি তা এখন টের পাচ্ছেন। সরকারের চেয়ে অনেক কোম্পানি স্মার্ট। স্মার্ট বলেই তারা এত অর্থ পাচার করতে পেরেছে। তারা ইকুয়ালি ইকুয়ালি জিনিয়াস। টাকা এমনি পাঠায় না, লেয়ারিং করে টাকা পাচার করে। টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রথমে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, আরেক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, এভাবে পাচার হয়।’ নিরীক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিরীক্ষা কেবল কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না বরং অর্থ কোথা থেকে এলো এবং কীভাবে তৈরি হলো সেটিও যাচাই করতে হবে। 

ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যান ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সভাপতি এন কে এ মবিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শুভাশীষ বসু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম নিয়ে ইআরএফ ও আইসিএবির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।