কুয়াশার চাদরে ঢাকা পঞ্চগড়, দেখা নেই সূর্যের
উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ভোরের ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ার দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে জেলায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমের অন্যতম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সকাল ৯টায় তা আরও কিছুটা কমে ১২.৪ ডিগ্রিতে দাঁড়ায়। এর আগের দিন শনিবার এই তাপমাত্রা ছিল ১৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে তাপমাত্রা এক অঙ্কের ঘরেও নেমেছিল, যা শীতের ভয়াবহতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এদিকে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ২ ডিগ্রি কম।
ভোরবেলা পুরো জেলা হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হলেও সূর্যের দেখা মিলতে বেশ দেরি হচ্ছে। শনিবারও সকাল ১১টার আগে রোদের তেজ অনুভূত হয়নি। সন্ধ্যার পর থেকে হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বহুগুণ বেড়ে যায়, যা গভীর রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
শীতের এই বৈরী আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। নদী থেকে বালু ও পাথর উত্তোলনে নিয়োজিত শ্রমিকরা কনকনে ঠাণ্ডায় কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে কৃষি শ্রমিকরা সময়মতো মাঠে নামতে পারছেন না।
শীত বাড়ার সাথে সাথে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্ট ও ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ‘সকালে দেরিতে সূর্য ওঠায় শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। ডিসেম্বরের বাকি দিনগুলোতেও এই ধরনের কনকনে ঠাণ্ডা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।’
স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।