খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া, মাদ্রাসার মাইকে ঘোষণা দিয়ে টেঁটাযুদ্ধ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া, মাদ্রাসার মাইকে ঘোষণা দিয়ে টেঁটাযুদ্ধ

নরসিংদীতে খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় জানা গেছে, যাদের মধ্যে টেঁটাবিদ্ধসহ অন্যান্য আহত ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

শনিবার (৮ নভেম্বর) ভোর থেকে মাধবদী থানার চরাঞ্চল চরদীঘলদী ইউনিয়নের চর জিতরামপুরে এ সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতরা হলেন- চর জিতরামপুর গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে খায়রুল (৩৮), মিন্টু মিয়ার ছেলে দুলাল (৫২) ও রুবেল মিয়া, মাইনউদ্দিনের ছেলে জাকির (৪৫) মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে খালেক মিয়া (৫৮), ও খালেক মিয়ার ছেলে জাকির (২৮)।

এদের মধ্যে খায়রুলকে (৩৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

নরসিংদীর চরদীঘলদী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড জিতরামপুরে খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় চাঁন মিয়া ও শহিদ মিয়া মেম্বার গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। আগের সোম ও মঙ্গলবারের সংঘর্ষে নয়জন আহত হওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে শনিবার ভোরে চর জিতরামপুরের উত্তর পাড়া মাদ্রাসার মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই পক্ষ ফের টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ব্যবহার করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, এতে উভয় পক্ষ মিলিয়ে অন্তত ২০ জন আহত হন।

দুলাল মিয়া নামের আহত একজন জানান, ভোরে শহিদ মেম্বারের লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সংঘর্ষে টেঁটার আঘাতে তাদের সমর্থকরা আহত হয়েছেন এবং কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়েছে।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, ভোরে শহিদ মেম্বারের লোকজন চাঁন মিয়ার লোকদের ওপর হামলা করলে সংঘর্ষে বেঁধে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমরা তিনজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।