নাগরিকদের জন্য সোশ্যাল সিকিউরিটির দাবি পিনাকী ভট্টাচার্যের
বাংলাদেশে সকল নাগরিকের জন্য সোশ্যাল সিকিউরিটির দাবি জানিয়েছেন প্রবাসী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, ‘সে (বাংলাদেশি নাগরিক) উপার্জন করুক আর না করুক, তার বেঁচে থাকার যে ন্যুনতম চাহিদা তা রাষ্ট্রকে পূরণ করতে হবে। বাংলাদেশে একমাত্র সোশ্যাল সিকিউরিটি আছে সরকারি চাকরিজীবীদের। তাই সরকারি চাকরির জন্য সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে।’
শনিবার (৮ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘এই কাজটা খুব সহজ না। সময় লাগবে। ইকোনোমির একটা সাইজ অ্যাচিভ (অর্জন) করতে হবে।’
পিনাকী ভট্টাচার্য তার ফেসবুক পোস্টে এ জন্য কয়েকটি পূর্বশর্তও উল্লেখ করেছেন। এগুলো হচ্ছে- জিডিপির সাইজ (আকার) ও প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল হতে হবে- মাথাপিছু আয় অন্তত ৪০০০ ডলার হতে হবে। এখন এটা ২৫৫৫ ডলার; ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও (অনুপাত) কমপক্ষে ১৮–২০% হতে হবে (বর্তমানে ৮%); ফর্মাল সেক্টরের আকার বাড়াতে হবে- কমপক্ষে ৫০% কর্মসংস্থান ফর্মাল সেক্টরে আনতে হবে, যাতে নিয়মিত ট্যাক্স ও কন্ট্রিবিউশন আসে। এখন এটা ১২%; রাজস্ব ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও ডিজিটালাইজেশন- কর ফাঁকি রোধ, সম্পদ কর (Wealth Tax), ও কর সংগ্রহের ডিজিটাল অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে; সরকারি ব্যয় পুনর্গঠন- ভর্তুকি, প্রকল্প অপচয়, ও ঘুষ-দুর্নীতির খরচ কমিয়ে সামাজিক খাতে বরাদ্দ দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সোশ্যাল সিকিউরিটি সার্ভিস থেকে কী কী দেওয়া হবে? ইউরোপের একটা কল্যাণ রাষ্ট্রে যা দেওয়া হয় সেগুলোই। যেমন- বেকার ভাতা, বৃদ্ধ ভাতা ও পেনশন সিস্টেম, চিকিৎসা বীমা ও সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, মাতৃত্বকালীন ও শিশুভাতা, দারিদ্রসীমার নিচে পরিবারে নগদ সহায়তা, অক্ষম ও প্রতিবন্ধী সহায়তা।’
পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘কথাগুলো শুনতে ভালো। কিন্তু কত দিন লাগতে পারে এইটা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে? আমার হিসাবে ১৫ বছরের বেশী লাগার কথা না। দক্ষ, মেধাবী, নির্লোভ নেতৃত্বের হাতে পড়লে এইটা ৮-১০ বছরে করা যায়।’
