জরিমানা দিয়ে হত্যা মামলায় মুক্তি পেলেন সাবেক চেয়ারম্যান
যশোরের বাঘারপাড়ায় হানিফ হত্যা মামলায় জামদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল জরিমানা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার এপিপি দিলিপ কুমার চন্দ্র।
বুধবার মামলার চার্জগঠন, বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আসামির দোষ স্বীকারের পর্যালোচনা শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. সালেহুজ্জামান এই আদেশ দেন।
কামরুল ইসলাম টুটুল যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার আমুড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, নিহত হানিফ যশোর শহরের লোনঅফিসপাড়ার রুস্তম আলীর ছেলে। তিনি সদরের দাইতলা এলাকায় জমি কিনে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। গত ২০ জানুয়ারি বিকেলে আসামি টুটুলসহ অন্যরা হানিফের মুরগির ফার্মে গিয়ে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়।
এরপর ২৯ জানুয়ারি সকালে টুটুল হানিফকে দেখা করতে বলেন। দেখা না করার কারণে ওই বিকেলে তারা হানিফকে তার ফার্ম থেকে তুলে জামদিয়া ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামে টুটুলের নিউ ইসলাম ব্রিকসে আটক করেন। সেখানে হানিফকে মারপিটের সময় টুটুলের লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে পেটে গুলি করা হয়। পরে অপরিচিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থা খারাপ হওয়ায় ৩১ জানুয়ারি তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু রাস্তায় মারা যান।
৩১ জানুয়ারি রাতে নিহতের স্ত্রী শিরিন সুলতানা বাঘারপাড়া থানায় টুটুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ১ জুলাই আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়।
৫ নভেম্বর চার্জগঠনের দিন বাদী শিরিন সুলতানা আদালতে আসামির সঙ্গে সমঝোতার এফিডেভিট জমা দেন। বিচারক চার্জগঠন, সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আসামির দোষ স্বীকারের পর ৩০৪ ধারা অনুযায়ী ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ব্যর্থ হলে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। কামরুল ইসলাম টুটুল জরিমানা পরিশোধ করে তাৎক্ষণিক মুক্তি পান।