চাঁপাইয়ে পদ্মার পানি বেড়ে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, পানিবন্দি সাড়ে ৮ হাজার পরিবার


চাঁপাইনবাবগঞ্জে উজান থেকে ধেয়ে আসা ঢলে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। এতে জেলার সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টায় পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানি ও মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে পদ্মা নদীর পানি বেড়েছে। তবে পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় ৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এতে চরাঞ্চলের অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। কোথাও কোথাও রাস্তাঘাটেও পানি উঠেছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতুলী এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর ও মনাকষা ইউনিয়নের সাড়ে ৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে এসব এলাকার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে সরকারি পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলাম জানান, উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতুলী ইউনিয়নের ১ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আজ (বুধবার) এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ হিসেবে চাল ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
এদিকে, শিবগঞ্জের ইউএনও আজাহার আলি জানান, তার উপজেলার পাঁকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা এবং মনাকষা ইউনিয়নের আংশিক এলাকায় পানি ঢুকেছে। এসব এলাকার সাড়ে ৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। পানির কারণে ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০০ পরিবারকে চাল, শুকনো খাবার, টিন, নগদ টাকা ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা মিলিয়ে প্রায় ৭০০ হেক্টর জমির ধান, ভুট্টা ও নানা ধরনের সবজি ফসল পদ্মার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
তবে নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, পানি বৃদ্ধির হার কমতে শুরু করেছে। কয়েক দিন পর নতুন করে আর কোনো এলাকায় পানি ঢুকবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।