আ.লীগকে নির্বাচনে আনতে চাইলে ফের অভ্যুত্থানের হুঁশিয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৩ আগস্ট ২০২৫, ১১:৪৮ পিএম
আ.লীগকে নির্বাচনে আনতে চাইলে ফের অভ্যুত্থানের হুঁশিয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
ছবি : সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম ‘ফ্যাসিস্ট ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে বয়ান তৈরি ও সম্মতি উৎপাদনের অপচেষ্টা চলছে’ অভিযোগ করে আবারও অভ্যুত্থানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

 

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিবৃতি দিয়ে তারা একথা বলেন।

 

 

তাদের অভিযোগ—কিছু রাজনীতিবিদ, আওয়ামী সিম্প্যাথাইজার ও সুবিধাভোগী মূলধারার কিছু গণমাধ্যম আয়োজিত টেলিভিশন টকশো, সংবাদপত্রে প্রকাশিত কলাম ও জরিপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে বয়ান তৈরি করছে।

 

বিবৃতিতে বলা হয়, মনে রাখতে হবে—আওয়ামী লীগ কোনও রাজনৈতিক দল নয়; তারা একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি, গণহত্যাকারী ও নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন। যারা বিগত দেড় দশকের দীর্ঘ শাসনামলে গুম, খুন, অপহরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বিচারিক হত্যাকাণ্ড, প্রকাশ্য দিবালোকে ধর্ষণসহ অগণিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত এবং সর্বশেষ জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জড়িত, যেখানে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জ্বলন্ত প্রমাণ ইতোমধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দফতরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। সুতরাং বাংলাদেশের মাটিতে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ বা অন্য যে কোনও নামে হোক না কেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার বিন্দুমাত্র অধিকার নেই।

 

এতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে—বাংলাদেশের মাটিতে ‘আওয়ামী অধ্যায়’ ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্টেই চূড়ান্তভাবে সমাপ্ত হয়েছে। অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ এখন সম্পূর্ণ অযোগ্য ও অপ্রাসঙ্গিক। তাই, ইনিয়ে-বিনিয়ে নানা মোড়কে আওয়ামী লীগের পক্ষে বয়ান তৈরি করে সম্মতি উৎপাদনের অর্থ হলো, আওয়ামী কর্তৃক সংঘটিত জুলাই গণহত্যাকে বৈধতা দেওয়া; যা জুলাই আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি এবং সহস্রাধিক শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

 

তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্পষ্ট ভাষায় জানাচ্ছে, অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশে যদি সম্মতি উৎপাদনের মাধ্যমে বিভিন্ন কৌশলে ‘আওয়ামী পুনর্বাসন প্রজেক্ট’ বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়, তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অভ্যুত্থানপন্থি ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আবারও ‘অভ্যুত্থান’র ডাক দেবে। এ ছাড়া পতিত, ফ্যাসিস্ট ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিয়ে যদি নির্বাচনের কোনও পরিকল্পনা বা অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হয়, তাহলে অভ্যুত্থানপন্থি সব ছাত্র-জনতা সেই নির্বাচন বয়কট করবে।