স্টেশনে ট্রেন আটকে টিটিইকে মারধর


ভাড়া বেশি নেওয়াকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গার উথলী স্টেশনে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বেসরকারি ট্রেন নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। এ সময় ট্রেনের এক টিটিইকে মারধরও করেছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিলে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
উথলী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মিন্টু কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামের এক ব্যক্তি ওই ট্রেনে ভ্রমণের সময় অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়াকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এক টিটিই। পরে ওই ব্যক্তি নিজ গ্রামের লোকজনকে বিষয়টি জানালে প্রায় ২০০ লোক উথলী রেলওয়ে স্টেশনে আসে। পরে স্টেশনে পৌঁছালে ট্রেনটি আটকে রাখে তারা এবং ওই টিটিইকে খুঁজতে থাকে। পরে ওই টিটিই দরজা বন্ধ করে মালবাহী বগির মধ্যে বসে ছিলেন। তাকে না পেয়ে অন্য একজন টিটিইকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দেন উত্তেজিত জনতা।
মিন্টু কুমার রায় আরও বলেন, এখানে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। অভিযুক্ত টিটিইকে পেলে বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেত। পরে আমিসহ জীবননগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই টিটিইর হয়ে উত্তেজিত জনতাদের নিকট ক্ষমা চাই এবং তাদেরকে চলে যেতে অনুরোধ করি। পরে তারা চলে গেলে ৫৫ মিনিট পর ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। যেহেতু বেসরকারি ট্রেন, আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
উথলী রেলওয়ে স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দর্শনা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রফিক হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে রেখেছিল স্থানীয়রা। বৃষ্টির কারণে যেতে পারিনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত জানাতে পারব।
জীবননগর থানা পুলিশের পরিদর্শক মামুন হোসেন বলেন, পোড়াদহ রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসির বার্তা পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। মূলত, স্থানীয় একজন যাত্রীর সঙ্গে ভাড়া নিয়ে খারাপ আচরণ করেছিলেন টিটিই। এরই জের ধরে তার পক্ষের লোকজন ট্রেনটি আটকে রেখেছিল।
টিটিইকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। হয়তো যাওয়ার আগে ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে স্টেশন মাস্টার আমাকে কিছুই জানাননি। পরে বিষয়টি সমাধান হয়েছে এবং ট্রেনটি যাত্রা শুরু করেছে।
এর আগে দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদরের আমিরপুরে রেলগেটের অদূরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় গেটম্যানের দাবিতে রেলপথ আটকে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। এ সময় টানা দুই ঘণ্টা খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে রাখেন তারা। পরে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।