৬ দফা দাবিতে সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে


সিলেটে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের অপসারণসহ ছয় দফা দাবিতে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। তবে ধর্মঘটের প্রভাব এখনো নগরীতে তেমন একটা পড়েনি। নগরীর অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদ।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে সিলেট থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও কোনো বাস প্রবেশ করেনি। তবে নগরীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ সব ধরনের যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, টিলাগড় ও মদিনা মার্কেট এলাকায় স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
তবে স্বাভাবিক দিনগুলোর চেয়ে যানবাহন সংখ্যায় অনেক কম। এতে করে বেশ দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। কিছু কিছু পয়েন্টে যানবাহনের জন্য অনেককে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অবশ্য এইচএসসি পরীক্ষার্থী, রোগী পরিবহনে সংশ্লিষ্ট যানবাহন ধর্মঘটের আওতার বাইরে থাকবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন নেতারা।
রবিবার (৬ জুলাই) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বরাবর ৫ দফা দাবি উল্লেখ করে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। ৫ দফা দাবির মধ্যে জেলা প্রশাসকের অপসারণের বিষয়টি ছিল না। সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের অপসারণসহ ৬ দফা দাবির কথা জানায় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদ।
৬ দফা দাবিগুলো হচ্ছে, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৩৬ ধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বাস মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০, ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যানের ক্ষেত্রে ১৫ ও সিএনজি ইমা ও লেগুনার ক্ষেত্রে ১৫ বছর ইকোনমিক লাইফ নির্ধারণ করার প্রজ্ঞাপন বাতিল, সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু মহাল এবং পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, বিআরটিএ কর্তৃক গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল ও গণপরিবহণের উপর আরোপিত বর্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহার, সিলেটের সব ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুতের মিটার ফেরত ও ভাঙচুরকৃত মিলের ক্ষতিপূরণ এবং গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পাথর-বালুর ক্ষতিপূরণ, সিলেটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে প্রত্যাহার এবং বালু পাথরসহ পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের হয়রানি না করা।