কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩৫

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০১ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩৫

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কামাল পাশা ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ফরহাদ আহমেদ (বাঘা বাড়ি) পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় বাঘা বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে উপজেলার খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামাল পাশা ও বাঘাবাড়ির জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ফরহাদ আহমেদ পক্ষের মাঝে বহুদিন ধরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। এতে, দুপক্ষের মাঝে প্রায়ই পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আজ সকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কামাল পাশার পক্ষের কয়েক শত লোকজন বাঘাবাড়িতে অতর্কিত হামলা করে। এতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ৩৫ জন আহত হয়। এসময় বাঘা বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্ব পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখনও ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এই বিষয়ে কামাল পাশা বলেন, আমি গতকাল ও আজকে একটি খেলার মাঠ পরিদর্শন করতে বাঘা বাড়ির সামনে দিয়ে আসা-যাওয়া করার সময়, আমার ওপর আক্রমণ করে এই আওয়ামী পরিবারটি। পরে আমার লেকজন সেখান থেকে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এতে আমার ১৫ জন লোক আহত হন।

বাঘা বাড়ির ফরহাদ আহমেদ বলেন, আমি দুই দিন ধরে কিশোরগঞ্জে রয়েছি। আমি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিতে স্থান পাওয়ায় কামাল পাশা এলাকায় দলীয় আধিপত্য বিস্তার করতে উসকানি দিয়ে আসছে। আজ পরিকল্পিতভাবে কয়েক শত লোক নিয়ে আমাদের বাড়ি-ঘরে আক্রমণ করে। এসময়, ভাঙচুর, লুটপাট অগ্নিসংযোগ করে ১৫ থেকে ২০ জনকে আহত করেছে।

অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।