চাঁদার দাবিতে স্বামীকে আটকে মারধর ও স্ত্রীকে ‘গণধর্ষণ’

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০১ জুলাই ২০২৫, ১০:২৪ এএম
চাঁদার দাবিতে স্বামীকে আটকে মারধর ও স্ত্রীকে ‘গণধর্ষণ’

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় চাঁদার দাবিতে এক ব্যক্তিকে আটকে রেখে মারধরের পর তার স্ত্রীকে “গণধর্ষণের” অভিযোগে উঠেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে তজুমদ্দিন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ইতোমধ্যে ধর্ষণের সহযোগিতার দায়ে একজনকে আটক করেছে।

সোমবার (৩০ জুন) উপজেলা সদরের কামারপট্টি রোডে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী দম্পতির অভিযোগ থেকে জানা যায়, শনিবার রাতে স্বামী রুবেলকে বাসায় ডেকে নেয় তার ছোট স্ত্রী। এ সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী রুবেলকে আটকে রেখে চাঁদার দাবিতে রাতভর নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে তার বড় স্ত্রীকে টাকা নিয়ে এসে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে বলা হয়। রবিবার সকালে বড় স্ত্রী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে চার লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে অসম্মতি জানালে পুনরায় রুবেলকে এসএস পাইপ ও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়।

এক পর্যায়ে বেলা আনুমানিক ১২টার দিকে স্বামীকে অন্যত্র সরিয়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তজুমদ্দিন উপজেলা শ্রমিকদলের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন ও আলাউদ্দিন। এ সময় তাদেরকে বাবা ও ভাই ডেকে হাতে-পায়ে ধরেও শেষ রক্ষা পাননি ভুক্তভোগী নারী।

অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, ধর্ষণ শেষে স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা কাউকে না বলার শর্তে সেখান থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে রবিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের স্বীকার হওয়া নারী দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বাড়ির আশপাশের লোক তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় মুচিবাড়িরকোনা বাজারে এনে সবাইকে ঘটনাটি জানায়। ভুক্তভোগী নারী ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুরো ঘটনার বিবরণ দেন।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাব্বত খান জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে ছয়জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অজ্ঞাত আরও পাঁচজনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।