বিএনপি ও গণ অধিকারের মধ্যে উত্তেজনা, দুই উপজেলায় ১৪৪ ধারা


পটুয়াখালীর গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার পৌর এলাকায় বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৮টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত এই ১১৪ ধারা বলবৎ থাকবে। আজ সকালে গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া বাজারের অবরুদ্ধ হন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর ও তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনের অনুসারীরা তাকে অবরুদ্ধ করেন বলে অভিযোগ।
পরে দিবাগত রাত ১টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই নুরুল হকের বহরে থাকা দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে হাসান মামুন বলেন, “নুরুল হক নুর এলাকায় অবস্থান করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এ ছাড়াও বুধবার তিনি প্রকাশ্যে একটি ঠিকাদারি কাজ নিয়ে জেলা বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিয়েছেন। তাছাড়া বৃহস্পতিবার চরবিশ্বাস বাজারে তার লোকজন বিএনপির নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছেন। এইসব উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে স্থানীয়রা লোকজন তার প্রতি ক্ষিপ্ত হতে পারেন।”
তারও আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নুরুল হকের গ্রামের বাড়ির সামনে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
এই পরিস্থিতে গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজামায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সব প্রকার দেশীয় অস্ত্র ইত্যাদি বহন এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৫ অথবা অধিক ব্যক্তির অবস্থান ও চলাফেরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
দুই উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনী, র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বলেন, “উপজেলা প্রশাসন গলাচিপা পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দিয়েছেন। এ আদেশ অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ মাঠে অবস্থান করছে। আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত আদেশ বলবৎ থাকবে।”