খুলনায় মৃত গরুর মাংস সন্দেহে জব্দ, গ্রেপ্তার ২

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১২ জুন ২০২৫, ১০:১৭ পিএম
খুলনায় মৃত গরুর মাংস সন্দেহে জব্দ, গ্রেপ্তার ২

খুলনায় সন্দেহজনক হিসেবে মৃত গরুর ৪ মণ ৩০ কেজি মাংসসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার(১২ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের সোনাডাঙ্গা মডেল থানার গল্লামারী এম এ বারী সড়কের ওয়ালটন শোরুমের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মাংসগুলো খুলনায় বিক্রির উদ্দেশে আনা হয়েছিল। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে একটি পিকআপও জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানায় খাদ্য নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তারা হলেন, ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর উপজেলার নিকারীপাড়া জলিলপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফের ছেলে মো. মমিন ও সোনাডাঙ্গা মডেল থানার আলীর ক্লাব সংলগ্ন আল আমিন মহল্লার বাসিন্দা সোহেল হাওলাদারের ছেলে তামিম হাওলাদার।

সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এএসআই মো. আলিম হোসেন সোনাডাঙ্গা মডেল থানার গল্লামারী এম এ বারী সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশি করছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পলিথিনে মোড়ানো ৪ মণ ৩০ কেজি পরিমাণ মাংসসহ একটি পিকআপ জব্দ করে।

জিজ্ঞাসাবাদে মোমিন জানায় সোনাডাঙ্গা থানার আল আমিন এলাকার বাসিন্দা তামিমের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মাংস চুয়াডাঙ্গা থেকে আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এরপর ঘটনাস্থলে ডেকে নেওয়া হয় তামিমকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মাংসের প্রকৃত মালিকের নাম ও ঠিকানা পুলিশকে জানায় সে। পুলিশ মাংসের প্রকৃত মালিক চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর উপজেলার সাহারেজ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ সময়ে তিনি পুলিশকে জানান, বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় গরুটি স্টোক করলে জবাই করা হয় এবং ৬৩ হাজার টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হয়। রাত ৩টার দিকে গরুর মাংস পিকআপে করে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, উল্লেখিত আসামিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগাক্রান্ত এবং মৃত গরুর মাংস সংগ্রহ করে খুলনা মহানগরের বিভিন্ন হোটেলে সরবারাহ করে থাকে।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে খাদ্য নিরাপত্তা আইনের থানায় মামলা হয়েছে। জব্দকৃত মাংস হতে পরীক্ষার জন্য ১ কেজি রাখা হয়েছে বাকী অংশটুকু আদালতের নির্দেশে ধব্বংস করা হবে বলে জানান।