ভারতীয় পোশাক কম থাকলেও জমে উঠেছে সুনামগঞ্জের ঈদের কেনাকাটা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
ভারতীয় পোশাক কম থাকলেও জমে উঠেছে সুনামগঞ্জের ঈদের কেনাকাটা

আর কটা দিন পর ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে কেনাকাটা। জেলা শহর ছাড়া গ্রামগঞ্জের বাজারগুলোতেও চলছে  কেনাকাটার ধুম। নতুন ফ্যাশনের জামা কিনতে এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে চলছে ছোটাছুটি। তরুণ-তরুণী ও শিশুরা ঈদের বাজার জমে তুলেছেন। শাড়ি, গহনা, ড্রেস, পাঞ্জাবি, পায়জামা, শিশুদের পোষাক কিনতে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই আছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা দেশীয় পোষাক তুলেছেন বেশি। নতুন নতুন ডিজাইন নিয়ে ছেলে মেয়েদের আকৃষ্ট করছেন তারা। ক্রেতারাও দেশি পোষাক কিনতে আগ্রহী আছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে এবার ভারতীয় নায়ক নায়িকাদের নামে পোষাকের সমারোহ চোখে পড়েনি। পাকিস্তানি পোষাক পছন্দের তালিকায় স্থান পেয়েছে ক্রেতাদের। এদিকে আফগান টুপি, নারীদের ফারসী ড্রেস বেশি বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিন মধ্যবাজার সোহানাজ ক্লথিং শপে দেখা যায়, পাকিস্তানি সারারা গারারা ড্রেস বিক্রি হচ্ছে বেশি। এছাড়া বিক্রি হচ্ছে ফারসী নামের ড্রেস।

দোকান মালিক মতিউর রহমান খোকন জানান, দেশি কাপড়, ভারতীয় এবং পাকিস্তানি কাপড় বেশি কিনছেন ক্রেতারা। ভারতীয় কাপড় এবার মার্কেটে কম এসেছে। ক্রেতারাও তেমন কিনছেন না।

শাওন বস্ত্রালয়ের প্রোপাইটার শাওন জানান, দেশি কাপড়ের চাহিদা বেশি। এরপরে পাকিস্তানি ড্রেসের দিকে নজর বেশি।

ভারতীয় কাপড়ের চাহিদা কম কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় কাপড় আগের মতো আসছে না। এসব কাপড়ই ঢাকার ব্যবসায়ীরা নায়ক নায়িকার নাম দিয়ে বাজারে ছেড়ে দিতেন। এবার ঈদে ভারতীয় ড্রেস নায়ক নায়িকার নামে আসে নাই। একই অবস্থা শহরের দোজা, সুরমা মার্কেটে।

ক্রেতা হাজেরা খাতুন বলেন, মার্কেটে শপিং করতে গিয়েছিলাম। পথে পথে ভিড় বেশি। তবুও কয়েকটি শপিং মল ঘুরে দেশীয় ও পাকিস্তানি কয়েকটি ড্রেস কিনে এনেছি। দাম খুব বেশি। ভারতীয় ড্রেস এবার মার্কেটে চোখে পড়েনি। তাই কেনা হয়ে উঠেনি।

ক্রেতা সুমন বলেন, আমি পরিবারের সবার জন্য দেশীয় কাপড় কিনেছি। দেশি ড্রেসে ডিজাইন ও গুনগত মান ভালো। দাম একটু বেশি হলেও মন্দ না।

আবু বক্কর নামের এক ক্রেতা জানান, এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেট যেতে যানজটের বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। যানজট নিরসনে ট্রাফিকের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। যানজট পোহাতে পোহাতে ঈদের শপিং করতে হচ্ছে। ঈদের বাজারে সবকিছুর দাম বেশি বলেও জানান তিনি।